shohel-photo-1-16-01-17

হারুন উর রশিদ সোহেল রংপুর.
রংপুরের মিঠাপুকুর মহাবিদ্যালয় সরকারী করণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষকরা। সোমবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় মিঠাপুকুর মহাবিদ্যালয় সরকারী করন আন্দোলন কমিটি। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির আহবায়ক লুৎফুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় সরকারী করণের সকল শর্তাবলী পরিপূর্ণ কলেজ মিঠাপুকুর মহাবিদ্যালয়। কিন্তু এই কলেজকে বাদ দিয়ে অন্য একটি কলেজকে জাতীয়করনের তালিকায় রাখা হয়েছে। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এসময় মিঠাপুকুর মহাবিদ্যালয় জাতীয়করনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রভাষক জাহিদুর রহমান, হামিদুল হক শাহ, বাবু শিশির কুমার সরকার, মর্জিনা বেগম, রুনা লায়লা পারভিন, ফাতেমা বিনতে ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে বলা হয়,দেশের অন্যতম বৃহত্তম উপজেলা মিঠাপুকুর। ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী কলেজ মিঠাপুকুর ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়।যা বিগত ১৯৭০ সালে উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে ঢাকা- রংপুর মহাসড়কের পার্শ্বে প্রায় ১২.৮৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপুণ ভুমিকা পালন করে আসছে। এখানে প্রায় ২ হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। ৪২ জন শিক্ষকসহ মোট ৫৪ জন কর্মচারী কর্মরত আছে।মিঠাপুকুর কলেজে ১টি ছাত্রী হোস্টেল, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটের মতো ইউনিট কাজ করছে। বিশাল ছায়া ঘেরা পরিবেশ, খেলা মাঠ ও শহীদও রয়েছে। এই কলেজের অনেক ছাত্র ছাত্রী সরকারী ও বেসরকারী সেক্টরে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করছে। সকল দিক থেকে মিঠাপকুর কলেজটি সরকারী করণেরযোগ্য। কিনতু তার পরেও অদৃশ্য শক্তির বলে মিঠাপুকুর কলেজকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যা কোনদিন মেনে নেয়ার মতো নয়। আমারা আন্দোলন সংগ্রাম করছি। যতদিন মিঠাপুকুর কলেজ সরকারী করণ করা হবে না ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চলবে। প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসুচি দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারী করেন মিঠাপুকুর কলেজ সরকারী করণ বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ। পরে রংপুর জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ারকে একটি স্বারকলিপি দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *