গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা:

পাবনা সদর উপজেলার দক্ষিণ রাঘবপুর গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন ও কেএম সুলতানা জাহান চামেলির জ্যৈষ্ঠ কন্যা আইরিন সুলতানা মিমপি আজ ৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছে। সে ১৭ জানুয়ারী পাবনা মেডিক্যাল কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে মেডিক্যালে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। তার পরীক্ষার রোল নম্বর ৩৩০১৬৯৩। মেধাবী মিমপি দুবলিয়া হাই কেয়ার কিন্ডার গার্টেন স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছিল। সে সদর উপজেলার দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জে.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ ও একই বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ এবং পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে কৃতকার্য হয়েছে। দুবলিয়া হাই কেয়ার কিন্ডার গার্টেন ও দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান অত্যন্ত মেধাবী মিমপি পঞ্চম শ্রেণি, অষ্টম শ্রেণি ও এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃত্তিত্ব অর্জন করেছিলো। সে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় আমরা আন্তরিক ভাবে গর্বিত। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি। মিমপি জানান, আমি ভবিষ্যতে একজন ভাল ডাক্তার হয়ে গ্রামের অসহায় মানুষদের সেবার পাশাপাশি দেশ ও দশের চিকিৎসার মাধ্যমে সেবা করতে চাই। মিমপির বাবা মোঃ আবুল হোসেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ও মাতা পাবনা এফ পিএবি এর ফিল্ড সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। মিমপির নানা পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া গ্রামের মরহুম মাস্টার এজেম উদ্দিন খান ও দাদা দক্ষিণ রাঘবপুর গ্রামের মরহুম সোহরাব হোসেন। এছাড়াও আইরিন সুলতানা মিমপির মামা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএসের উপদেষ্টা মোঃ আঃ খালেক খান পিভিএম-সেবা ও অপর মামা ব্রাক শাহজাদপুর শাখার হিসাব কমকর্তা হিসেবে কর্মরত। মিমপি তার বাবা মায়ের দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে জ্যৈষ্ঠ সন্তান। সে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন। মিমপি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ায় সদর উপজেলার দুবলিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান খান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আঃ খালেক খান পিভিএম-সেবা, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পাবনা সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মোঃ লিটন আনার লিটু, উপদেষ্টা সুজানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম, পরিচালক কেএম মুনির হোসাইন, পরিচালক মোঃ সিরাজুল আলম খান, পরিচালক মোঃ শিমুল খান বাবু, পরিচালক জালাল উদ্দীন খান, পরিচালক মোঃ শহীদ খান, পরিচালক মোঃ রাজন খান ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ শুভ খান সহ এলাকার সুধীজন অভিনন্দন জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *