কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
মৌমাছি বাসা বেধেঁছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একটি নয় দুটি নয় একেবারে ২২টি চাক দিয়েছে বিদ্যালয়টির তিন দিকের কার্নিসে। বাদ যায়নি সিড়ির ছাদও। মৌমাছির হুল ফোটানোর আতংকে শংকিত এখন বিদ্যালয়টির শিক্ষক শিক্ষার্থিরা। ইতিমধ্যে সাত আটজন শিক্ষার্থি শিকার হয়েছে মৌমাছির আক্রমনে। ভয়ে অনেক শিক্ষার্থি বিদ্যালয়ে আসা ছেড়ে দিয়েছে। মৌমাছির আক্রমন থেকে বঁাচতে দরজা জানালা বন্ধ রেখে নেয়া হচ্ছে বাৎসরিক পরিক্ষা। এমনটাই ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার উত্তর কচাকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের এ বিদ্যালয়টিতে একমাস আগে হঠাৎ করে একটি মৌমাছির চাক বসে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে এ চাকের সংখ্যা। এখন এ চাকের সংখ্যা বিশ ছাড়িয়েছে। শুধু তাই নয় দু একদিন পরপরই আসছে আরো নুতুন চাক। বিদ্যালয়ের শিক্ষাথর্ীরা জানায় মাঝে মধ্যেই মৌমাছি উড়ে এসে সারা শরিরে হুলফুটায় তাই তাদেরকে সবসময় ভয়ে থাকতে হয়। শিক্ষকরা জানায়, চুপচাপ রুমে ঢুকে দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে স্কুলে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।
২৪০ জন শিক্ষার্থি নিয়মিত থাকলেও মৌমাছির ভয়ে ২শ’র নিচে নেমেছে উপস্থিতির হার। বর্তমানে চলমান বাৎসরিক পরিক্ষা চলছে । বিকল্প কোন পথ না থাকায় রুমের দরজা জানালা সব বন্ধ করে দিয়ে পরিক্ষা নেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থিরা জানায় কম আলোয় লিখতে কষ্ট হলেও এক প্রকার বন্দি হয়েই তার পরিক্ষা দিচ্ছে।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষিকা খুশি রাণী জানান, একটু বাতাস বইলে বা পাখি উড়লে সাথে সাথেই মৌমাছির দল এসে আমদের আক্রমণ করে। মাথা, মুখ এমনকি সার শরিরে হুল ফুটায় তারা। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রথম শ্রেণীর বেশ কয়েকজনকে হুল ফুটিয়ে আহত করেছে মৌমাছি। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা অনেক খারাপ, বেশ কিছু মৌমাছি ছাপিয়ে ধরেছিলো তার সারা শরিরে। তিনি আরো জানান, মৌমাছির বেশী উড়া উড়িতে খরকুটুয় আগুন দিয়ে ধেঁায়ার সৃষ্টি করে চলমান বাৎসরিক পরিক্ষা নিতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে আতংকে থাকতে হয় তাদেরকে।
বিদ্যালয়টির সহ সভাপতি তাইজুল ইসলাম জানান, যখন কম ছিলো তখন স্থানিয়ভাবে মৌমাছি তাড়ানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। এখন শিক্ষক শিক্ষার্থিদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
শুধু বিদ্যালয়টির শিক্ষক শিক্ষার্থি নয় আশে পাশের বাড়ির বাসিন্দাদেরও দিন কাটে মৌমাছির আতংকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *