আব্দুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজারের জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ২৪৫৩ এর বর্ধিত সভায় বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ ন্যায্য ভাড়্ াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে স্থায়ী রিকশা স্ট্যান্ড প্রদানের দাবি জানানো হয়। ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টার সময় মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৪৫৩-এর সভাপতি সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়। রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি শহীদ সাগ্নিক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজর জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫ এর সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন মিয়া। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কিসমত মিয়া, মোঃ জসিমউদ্দিন, কালেঙ্গা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ শাহজাহান আলী, সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদুদর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী প্রমূখ।
সভায় চালের মূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় ইতোমধ্যে মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে তার উপর চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ দেশের হাওর অঞ্চলের বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চালের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অথচ সরকার সময়মতো হাওর অঞ্চলের বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও মেরামত করার পাশাপাশি দেশের সকল নদনদী-খালবিল প্রয়োজনীয় মাত্রায় খনন করলে এভাবে অকাল বন্যার কবলে পড়ে বছর বছর কৃষককে সর্বশান্ত হতে হতো না। সভা থেকে এক প্রস্তাবে হাওর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপুরণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সভায় মহান মে দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালনের লক্ষ্যে একটি প্রচার পত্র প্রকাশ ও আগামী ২৩ এপ্রিল বিক্ষোভ মিছিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে ন্যায্য ভাড়ার তালিকা প্রদান, শহরের সুবিধাজনক স্থানে স্থায়ী স্ট্যান্ড স্থাপন, রিকশা শ্রমিকদের উপর জুলুম অত্যাচার বন্ধ, স্বল্পমূল্যে রেশনিং চালু, শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা ও যুগ্ম-শ্রম পরিচালকের কার্যালয় স্থাপনের জোর দাবি করা হয়।