মোঃ আবু হাসান,, বিভাগীয় প্রতিনিধি,,খুলনা
যশোরে চীনা নাগরিক চ্যাং হি সং হত্যাকা-কান্ডের দ্রুত বিচার ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের ভাই চ্যাং ইউ সিং। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ দাবি জানান। এরআগে শনিবার রাতে তিনি যশোরে এসে তদন্ত কর্মকর্তা ও আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কাছেও ভাইয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
নিহত চীনা নাগরিক চ্যাং হি সং এর ছোট ভাই চ্যাং ইউ সিং সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, হত্যাকা-ের পর প্রায় চার মাস অতিবাহিত হতে চলেছে। বাংলাদেশের আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই। তাই মামলা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে তিনি এখানে এসেছেন। যশোরে এসে তিনি তদন্ত কর্মকর্তা ও আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা আশ্বস্ত করেছেন, এই মামলায় হত্যাকারীরা শাস্তির আওতায় আসবে। প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তার সাথে ছিলেন, নিহত চ্যাং হি সংয়ের বন্ধু চ্যান জিং লং ও স্যান জিং ঝং এবং তাদের বাংলাদেশি ব্যবসায়িক বন্ধু কাজী মারুফ কবীর ও শাহীন চৌধুরী।
কাজী মারুফ কবীর জানান, নিহত চীনা নাগরিকের ভাই ও দুই বন্ধু শুক্রবার বাংলাদেশে এসেছেন। শনিবার রাতে তারা যশোরে এসেছেন। যশোরে এসে তারা প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আইনজীবীর সঙ্গে এবং পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এই মামলা নিয়ে কোনো তথ্য ছিল না। যশোরে এসে তারা সামগ্রিক খোঁজখবর নিয়ে জড়িতদের সাজার ব্যাপারে আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর যশোরের উপশহর মহিলা কলেজের সামনে ২ নম্বর সেক্টরের ৩৪ নম্বর ফরিদা ভিলা নামক বাড়িতে থেকে চীনা ব্যবসায়ী চ্যাং হি সং এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ দু’জনকে আটক করে। এরা হলো, নিহতের ব্যক্তিগত সহকারী ও নেত্রকোনা সদর উপজেলার চকপাড়া গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পারভেজ (২৬) ও তার ভাইপো একই এলাকার রফিকুল আলম বাবুলের ছেলে মুক্তাদির রহমান রাজু (২০)। হত্যাকা-ের দেড় মাসের মাথায় ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ এই দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আটক দুই আসামি তাদের অপরাধের কথা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন।