আশানুর রহমান আশা —
-যশোরে এবার মাদক মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই বোনকে সাত শর্তে বাড়িতে সাজা ভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যুগ্ম-দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মাদক মামলায় আজিমন বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে শর্তসাপেক্ষে বাড়িতে সাজা ভোগের আদেশ দিয়েছিলেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- অভয়নগর উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের আব্দুল গণির মেয়ে রোজিনা খাতুন ও সেলিনা খাতুন। এ নিয়ে তিনটি মামলায় দণ্ডিতদের নিজ বাড়িতে সাজা ভোগের আদেশ দিলেন আদালত।

বাড়িতে থেকে সাজা ভোগের শর্তগুলো হলো- কোনো প্রকার অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না; শান্তি বজায় রেখে সবার সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে; আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে যেকোনো সময় তলব করলে শাস্তি ভোগের জন্য প্রস্তুত হয়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির হতে হবে; কোনো ধরনের মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে না।

একই সঙ্গে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে জীবনযাপনের অবস্থা অবহিত করতে হবে। প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ছাড়া নিজের এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে আসামিদের প্রত্যেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

যুগ্ম দায়রা জজ-২ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইয়ুব খান বাবুল জানান, ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নিজ এলাকা থেকে রোজিনা খাতুনকে ১২ পুরিয়া ও সেলিনা খাতুনকে ১০ পুরিয়া হেরোইনসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন।

রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলা চলাকালে জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘ ১৪ বছরের মধ্যে আসামিরা হাজিরা দিতে গাফিলতি করেননি। এই মামলা ছাড়া তাদের নামে আর কোনো মামলাও নেই। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্বাসনের জন্য শর্তসাপেক্ষে প্রবেশনে মুক্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারক।

তিনি আরও বলেন, চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে এ ধরনের তিনটি মামলার রায় দিয়েছেন যুগ্ম দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন