আশানুর রহমান আশা বেনাপোল,,
যশোরের নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের রুপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমি’র বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক জহুরুল পারভেজ ও সভাপতি সোহরাবসহ কতিপয় দুর্নিতিগ্রন্থ সদস্যদের দূর্নীতি, কোচিং বাণিজ্য ও নিয়োগ বানিজ্য এবং তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিবাদ করায় দুর্নিতির হোতাদের ইন্ধনে অত্র অঞ্চলের সুপরিচিত, জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাজু আহম্মেদ এর নামে অপপ্রচার করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ০৭ এপ্রিল বিকালে রুপদিয়া বাজারে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধনে বক্তারা নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ এর নামে ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মন্তব্য করেন। এছাড়াও তারা রুপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমির প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি সোহরাব হোসেন এর সিমাহীন দূর্নীতির প্রতিবাদ করেন।
অনতিবিলম্বে দূর্নীতিবাজ শিক্ষক ও সভাপতির অপসারণের দাবিও জানান উক্ত মানববন্ধনের নেতৃবৃন্দ। ইতিপূর্বে এই বিতর্কিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিকবার মানববন্ধন বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছ। এলাকার সাধরণ মানুষও স্থানীয়ভাবেও প্রতিবাদ মিছিল করেছে একাধিবর। তাদের অবৈধ কোচিং বাণিজ্য ও নিয়োগ বানিজ্য প্রতিরোধ করার জন্য।
মূলত বাস্তবতা এই যে, ১৯৫২ সালে যশোর জেলার রুপদিয়ায় ‘রুপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়। দীর্ঘ ৭০ বছরের পথ চলার এই প্রতিষ্ঠান অর্জন করেছিল অনেক সুনাম। কিন্তু ২০১৪ সালের পর সেই সুনামের গ্রাফটি ক্রমান্ময়ে নিম্নমুখি হতে হতে আজ প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়েছে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বি.এম জহুরুল পারভেজ ও সভাপতি সোহরাব হোসেনের সীমাহিন দুর্নিতীর কারণে। এই অবস্থা থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে এলাকার সাধারণ মানুষ নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানে দারস্ত হলে, চেয়ারম্যান বিষয়টি অনুসন্ধান করে অভিযোগের সত্যতা পেলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সংশোধন ও প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেন।
কিন্তু কে শোনে কার কথা! গত ২৯ মার্চ উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ পরিক্ষা নিয়ে অভিযোগ ওঠে, তখন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে এলাকাবাসীর সাথে একত্মতা প্রকাশ করে প্রতিরোধ করেন। তখন নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তরা পরীক্ষা স্থগিত করে দেন। এরই সূত্রধরে তারা চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদের নামে নানা অপপ্রচার শুরু করে, অবৈধ নিয়োগ দিতে না পেরে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মরিয়া হয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করছে। মূলত তাদের এসব অবৈধ কাজের প্রতিবাদে আজকের মানববন্ধন করেন নরন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সুধন্য দাস, ইউপি সদস্য আঃ মালেক, মনিরুজ্জামান সাকির, মিন্টু, মোস্তফা কামাল, মকবুল হোসেন, শিউলী খাতুন, তানজিলা খাতুন, রহিমা বেগম সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও আরোও উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জামাল হোসেন, শফি গাজী, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মশিয়ার রহমান সহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।