ঢাকা অফিসঃ

২৫ ফেব্রুয়ারী ১৭ পলিখানা ট্রাজেডির ৮ম বার্ষিকী। ২০০৯ সালের এই দিন ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নাটক মঞ্চস্থ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-র্সাবভৌমত্ব রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে বাংলাদশকে একটি অর্কাযকর রাষ্ট্রে পরিনত করার চক্রান্ত শুরু হয়েছিল।

ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের র্দীঘ প্রায় ২০০ বছররে ঐতিহাসিক বিডিআর চেতনাকে ধ্বংস করেছে। ১৯৭১‘র মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৩ র্মাচ যে বাহিনী প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করছেলি সেই বাহিনীকে করছেে কলঙ্কিত। শুধু বাংলাদেশ নয়, সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম এতজন সেনাকর্মকর্তাকে নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ২৫ ফ্রেব্রুয়ারী পিলখানায়।

জাতি হিসেবে আমাদের দূর্ভাগ্য, র্দীঘ ৪৫বছরেও আমরা আমাদরে ঘর সামলাতে সক্ষম হই নাই। পারিনি শক্ত মাটিতে পা রেখে চলতে। কে আমাদের বন্ধু এবং কে আমাদের শত্রু তাও সঠকিভাবে নির্নয় করতে পারিনি। ইতিহাস বলে ১৭৫৭ সালরে ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে যুদ্ধের নামে যে প্রহসন সংগঠিত হয়, তার অদূরে হাজারো জনতা আগ্রহ ভরে দেখেছিল কি হচ্ছে। দেখতে দেখতে বাংলার স্বাধীনতার লাল র্সূয্য অস্তমিত হয়। র্দীঘ প্রায় ২০০ বছর লেগেছে সেই সূর্য্য ছিনিয়ে আনতে। আবারো পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির বিরুদ্ধে আরেকটি রক্তক্ষয়ি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে পৃথিবীর মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত হয় লাল সবুজের পতাকা আর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। দুঃখজনক হলওে সত্য যে, রাষ্ট্রের জন্ম মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে, সেই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-র্সাবভৌমত্ব আজ শুকুণীর কালো থাবায় ক্ষত-বিক্ষত।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী বিডিআর বিদ্রোহের যে নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল তা যে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর চরম আঘাত তা দিবালোকের মত স্পষ্ট। ঐদিন বিডিআর সদর দফতরে সেনাকর্মকর্তাদের হত্যার মাধ্যমে যে বিপুল ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা পূরনে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করে ২০-২৫ বছর লেগে যাবে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা সে কাজটি সূচারুভাবে সম্পাদন করতে পেরেছিল তাদের আভ্যন্তরিন দালালদের সহযোগীতায় আর আমাদের জাতীয় ঐক্য না থাকার সূযোগে। এই হত্যাকান্ড তো বাংলাদেশের কারো লাভ হয়নি, তাহলে লাভ হয়েছে কাদের? লাভ হয়েছে তাদেরই যারা বাংলাদেশকে দেখতে চায় একটি অর্কাযকর, দুর্বল, ভঙ্গুর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে। সেনাকর্মকর্তাদের ওপর পরিচালিত এই গণহত্যায় নিঃসন্দেহে দুর্বল হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষার জনগনের আস্থার স্থল বিডিআর। বিডিআরের বীরত্ব ও সাহসীকতা সর্বজনবিদিত।

২৫ ফেব্রুয়ারী বিডিআর বিদ্রোহের আগের দিন হঠাৎ করেই বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ নিরাপত্তা জোরদার করে তুলে আমদানি-রফতানিতে প্রতবিন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। এঘটনা থেকে প্রশ্ন উদ্বগে হওয়াটা স্বাভাবিক তাহলে কি ভারত জানত পরদিন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন ঘটনা ঘটছে ? স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের অব্যাহত আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশ কখনো মাথা সোজা করে দাড়াতে পারেনি। গুটি কয়েক ভারতীয় পাচাঁটা দালাল বাদে ভারতের অব্যাহত সীমান্ত-সাংস্কৃতকি-পানি-বাণিজ্য আগ্রাসণের কারণে দেশবাসী মনেই করে ভারত কখনো আমাদের সৎ প্রতবিশীর পরিচয় দিতে পারেনি।

স্বাধীনতার পর পরই বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পনিত করার যে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল ধাপে ধাপে সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন চলছে। ২০০৯ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারী পিলখানায় নির্মম হত্যাকান্ড সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ মাত্র। এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত্রের ধারাবাহিকতায়ই বিডিআর বিদ্রোহের নাটক মঞ্চস্থ করে বাংলাদেশ সেনাবহিনী ও বিডিআর দু‘টোকেই দর্বল করে দিতে সক্ষম হয়ছে ষড়যন্ত্রকারীরা। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তররে এতগুলো কর্মকর্তাকে একসাথে হত্যা কোন কাকতালীয় ঘটনা কিংবার দুর্ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত করার কোন সুযোগ নেই। ৬৩জন সামরকি কর্মকর্তাকে হত্যার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর মেধা ও সক্ষমতাকে বাঁধাগ্রস্থ করা হয়েছে। অপর দিকে যে বিডিআর স্বাধীন বাংলাদেশে দীর্ঘ ৩৭বছর ধরে অতন্ত্র প্রহরীরুপে সীমান্তে বিদেশী আগ্রাসন সফল ভাবে প্রতহিত করেছে, সেই প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব মুছে দিয়েছে। ঐহিত্যবাহী বিডিআর এখন বিজিপি নাম ধারন করেছে। আর সীমান্তে জোরদার হয়েছে ভারতীয় বিএসএফের আগ্রাসন। এখন সীমান্তে প্রতিনিয়ত আমাদের নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করছে ভারতীয় বিএএসএফ। হত্যার পর ফেলানীর লাশ কাঁটা তাঁরে ঝুলিয়ে রেখে উল্লাশ করছে বিএএসএফ।

পিলখানার ঘটনা যে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেবার জন্যই যে ঘটানো হয়েছিল তা আজ দিবালোকের মতই স্পষ্ট। এটি ছিল বাংলাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *