nap-news-07-05-17
ঢাকা অফিসঃ
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে বলেছেন, রবীন্দ্র-চেতনার আলোকে ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা পাবে। মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।

ক্ষণজন্মা এই কবির অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্যই আনন্দের বার্তাবহ। কারণ, বাংলা ভাষা-সাহিত্য ও বাঙালি জাতিকে তিনি দিয়েছেন শুভ-সুন্দর ও কল্যাণের শাশ্বত বার্তা।
তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ মানেই মহৎ মানবিক মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, যা ধর্ম-বর্ণ ও গোত্রের সংকীর্ণ সীমা ভেদ করে রূপসাগরে গান গায় অরূপরতনের। কবির এই অরূপরতন তো প্রকৃতপক্ষে তাঁর জীবন দর্শনেরই নাম, যে দর্শনের মূলে রয়েছে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার শিল্পিত রূপায়ণ। বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় তো বটেই, বাঙালি সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রকে প্রায় একক চেষ্টায় তিনি দান করেছেন নতুনতর মাত্রা। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে বিশ্বসাহিত্যের বৃহৎ পরিসরে বাংলা সাহিত্যের অভিষেক ঘটানোর পাশাপাশি তাঁর কৃষি ব্যাংকিং-সমবায়-শিক্ষা সংগঠন এক জীবনে তাঁকে দিয়েছে বিশাল ব্যাপ্তি। রবীন্দ্রনাথ মানুষের আত্মশক্তির উদ্বোধন চেয়েছেন উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, চাপিয়ে দেওয়া দর্শন, সাম্রাজ্যবাদ ও অশুভের বদলে মানুষের সুকুমার সত্তার বিকাশ সাধনই ছিল রবীন্দ্র-দর্শনের মর্মকথা।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও বৈষম্যের বিলোপ সাধন এবং ধর্ম-বর্ণ-ভাষার বৈচিত্র্যে সমুন্নত রাখতে রবীন্দ্রনাথের জীবন ও দর্শন এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। আমাদের মননে বিশ্বকবির ব্যঞ্জনাময় উপস্থিতি শোষণ, বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা ও অমানবিকতা প্রতিরোধে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, কালজয়ী এ কবি জীবন ও জগৎকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে, যা তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ ও ভ্রমণকাহিনী, সংগীত ও চিত্রকলায় সহস্রধারায় উৎসরিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *