রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের নানা অনিয়ম আর দূর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এমপিও ভুক্তির নামে কোটি কোটি টাকা লোপাটের সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১০-১২-২১ ইং তারিখে দুদক একটি তদন্ত পত্র প্রেরণ করেন মন্ত্রণালয়ে। সেই পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জানুয়ারি-২২ ইং তারিখে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উক্ত কমিটিতে আছেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ, এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (শারীরিক শিক্ষা) ও সহকারী পরিচালক। পত্রে কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন করে জমা দেওয়ার নির্দেশনা আছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন আঞ্চলিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ এনামুল হক হাওলাদার।
উল্লেখ্য যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) ভুক্তির নামে রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া যায়। বিভাগের আট জেলায় গত এক বছরে আড়াই হাজার শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে ঘুষ লেনদেন হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। শিক্ষা অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক ড. আবু রেজা আজাদ এসব দুর্নীতি করেছেন বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে বিভিন্ন পত্রিকায়।
তদন্তের বিষয়ে জানতে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেককে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে একটি চিঠি গতকাল পেয়েছি। তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলতে পারবো।
প্রসংগত, রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক ড. আবু রেজা আজাদ এর নানা অনিয়ম দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা করেন তাঁরা। ঐ সাংবাদিক হলেন দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার রাজশাহী ব্যুরো প্রধান ফারুক আহমেদ। মামলার প্রতিবাদে ৩১ অক্টোবর-২১ ইং সালে তাদের বিরুদ্ধে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব মানববন্ধন ও উক্ত কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি করা হয়।
এদিকে গত ১০ ডিসেম্বর-২১ ইং তারিখে উক্ত কর্মকর্তাদের নানা অনিয়ম ও হয়রানির প্রতিবাদে তাদের অপসারণ দাবিতে রাজশাহী কলেজ শিক্ষক সমিতিও সংবাদ সম্মেলন করেন।