দুর্গাপুর (বিশেষ প্রতিনিধি)মোঃখলিলুর রহমান –এশিয়ান বাংলা নিউজ
রাজশাহী দুর্গাপুরে স্কুল পড়ুয়া দুই কিশোরকে
গাছে বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনায় স্থানীয়
চেয়ারম্যান মোজাহার আলী মণ্ডল ও দুই ইউপি
সদস্যসহ ৯জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের
করা হয়েছে। এঘটনায় অত্র ইউনিয়নের দুই ইউপি
সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন
ঝালুকা ইউনয়িনের আওয়ামী লীগ নেতা ও ৪নং
ওয়ার্ড আন্দুয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল
মোতালেব ও ৫ নং ওয়ার্ড হাড়িয়াপাড়া গ্রামের ইউপি
সদস্য আব্দুল লতিব র্মীজা। তবে পলাতক
রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি
চেয়ারম্যান মোজাহার আলী মণ্ডল।
নির্যাতনের শিকার হয়েছেন উপজেলার আন্দুয়া
গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে জার্জিস
হোসেন (১৫)ও পলাশবাড়ি গ্রামের সেকেন্দার
আলী সেকুর ছেলে রতন আলী (১৫)।
নির্যাতনের শিকার ওই দুই কিশোরকে গতকাল
বৃহস্পতিবার সকালে তার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) আসলাম উদ্দিন, দুর্গাপুর
থানার ওসি রুহুল আলম ঘটনাস্থল থেকে তাদের
উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য
কেন্দ্রে ভর্তি করেন। এলাকাবাসী সূত্রে
জানাগেছে, ছাগল চুরির অভিযোগে গাছের
সঙ্গে ওই দুই কিশোরকে বেঁধে মারপিটের
ঘটনা বৃহস্পতিবার জার্জিসের পিতা জিয়াউর রহমান
বাদি
হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের
করেন। মামলায় আসামীরা হলেন ঝালুকা
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী, আন্দুয়া
গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব, ও
হাড়য়িাপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল লতিব
র্মীজাসহ ৯জনকে আসামি করা হয়। উলেখ্য, গত
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আন্দুয়া গ্রামের কেচিনি
ফকিরের ছেলে রেজাউলের বাড়ি থেকে
ছাগল চুরি হয়ে যায়। উপজলোর আন্দুয়া গ্রামের
জিয়াউর রহমানের ছেলে জার্জিস হোসেন ও
পলাশবাড়ি গ্রামের সেকু আলীর ছেলে রতন
নামের দুই কিশোর ওই ছাগলটি নিয়ে মতিহার থানার
হরিয়ান বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাজারের নৈশ
প্রহরীদের সন্দেহ হলে ছাগলসহ তাদের
দুইজনকে আটক করেন।
পরে ওই দুই কিশোরের কাছ থেকে বিস্তারিত
জেনে আন্দুয়া গ্রামে খবর দিলে পরের দিন
বুধবার সকাল ৬টার দিকে ইউপি সদস্য আব্দুল
মোতলেব তার জিম্মায় ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাগল মালিক
রেজাউলের বাড়ির পাশে গ্রাম্য সালিশ বসানো হয়।
সালিশী বৈঠকে ওই দুই কিশোরকে গাছে
বেঁধে বেধড়ক পেটানো হয়।
পরবর্তিতে তাদের পরিবাররে লোকজনকে
খবর দেওয়া হলে পরিবারের লোকজন
ঘটনাস্থলে উপস্থতি হলে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা
আদায় করা হয়।
এ সময় কথিত ওই গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে উপস্থিত
ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহার আলী
মন্ডল, আন্দুয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল
মোতালেব ও হাড়িয়াপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মির্জা
আব্দুল লতিব।
পরে ওই দুই কিশোরকে তাদরে পরিবারের
লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায়
ওই দুই কিশোরকে পেটানোর ভিডিও চিত্র
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে
ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এবিষয়ে
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিবার
পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দেওয়ান নাজমুল আলম
বলেন, আহত ওই দুই কিশোর আশংকামুক্ত
রয়েছেন তাদের শরীরে তেমন বড় ধরনের
কোন আঘাতের চিহ্ন নেই।
এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) রুহুল
আলম জানান, ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান
মোজারহার আলীসহ ৯জনকে আসামী করে
থানায় একটি মামলা হয়েছে। এঘটনার সাথে জড়িত
দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।