আনিছুর রহমান আনাছ
রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃরাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রুকুনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে গত ১০ ও ১১ই জুন ২০২১ খ্রিঃ দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক যুগান্তর সহ কিছু অন লাইন নিউজ পোর্টালে রাজারহাটে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।যা সম্পুর্ন অসত্য,মিথ্যা,ভিত্তিহীন,উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও রাজনৈতিক হীন চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।সংবাদে বাদী আব্দুল বাচের খা(বাচেদ খা) একজন চিহ্নিত ভূমি দখলকারী ও স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে অভিযুক্ত কারাভোগকারী।২০১১সালের জানুয়ারী মাসে দৈনিক চাওয়া পাওয়া,দৈনিক মুক্ত সকাল সহ বিভিন্ন পত্রিকায় রাজারহাটে ভূমি দস্যুর কবলে খাস জমিঃউদ্ধারে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ শিরোনামে ফলাও সংবাদ পরিবেশিত হয়।অথচ
যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে যে জমি দখলের অভিযোগ এনে ভুয়া ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে সেই একই জমির ২৮৮/৭৩৮/৭৩৯ তিন দাগে ২ একর ৬৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠে রাজারকার আব্দুল বাচের খানের বিরুদ্ধে।সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় তৎকালীন রংপুরের পীরগাছার জমিদার ভূপেন্দ্র চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী জ্যোতি দেবীর নামে ২৮৮/৭৩৮/৭৩৯ তিন দাগে ২.৬৬ একর জমি ৬২ ইং সনে রেকর্ড হয়।জমিদারের স্ত্রী জ্যোতি দেবীর মৃত্যুর পর তার যোগ্য ওয়ারিশ না থাকায় ভীম শর্মা গ্রামের আঃজব্বার এর পুত্র ইদ্রিস আলী ও জহুরুল হক এবং আফছার আলীর পুত্র রুস্তম ও ইসলাম হোসেন এবং তছলিম উদ্দিনের কন্যা পেয়ারী বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছিলো।পেয়ারী বেগম বৈবাহিক ভাবে স্বামীর বাড়িতে থাকার কারনে তার ভোগ দখল কৃত অংশ পশ্চিম দেবত্তর পাচগাছী গ্রামের মৃত হযরত খার পুত্র আব্দুল বাচের(বাচেদ) স্টামে সহি করিয়া চুক্তিভিত্তিক বন্ধন নেন।পরে বাচের পেয়ারী বেগম কে জমি ফিরত না দিয়েই নিজেই দখল করেন।এব্যাপারে পেয়ারী বেগম রাজাকার আব্দুল বাচের(বাচেদ)কে আসামী করে রাজারহাট থানায় ১০ শে জানুয়ারী ২০১৭ সালে মামলা দায়ের করেন।মামলা নং১৯/১৭।অথচ একজন রাজাকারের পক্ষ নিয়ে বিশাল অর্থের বিনিময়ে কিছু হলুদ সাংবাদিক শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবতী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রুকুনুজ্জামান রোকন,যিনি একজন পরিক্ষিত বিশ্বস্ত শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে স্বীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে আসছে।অথচ সংবাদ পরিবেশনে তাকে সাবেক উল্লেখ করা হয়েছে।এছাড়াও অভিযোগ সুত্র থেকে যে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মনগড়া কল্পনাপ্রসূত।
“বলা হয়েছে দেবত্তর পাচগাচী গ্রামের মৃত হযরত খার পুত্র আব্দুল বাচের(বাচেদ)খা ভীমশর্মা মৌজায় জে এল নং ৮১ খতিয়ান নং ২৯ দাগ নং ২৮১/২৮৮/২৩৯ মোট ১.৩৩ একর জমি তৎকালীন রাজা শ্রী ভবেন্দ্র নাথ নারায়ণ এর নিকট থেকে কবুলিয়ত (লিজ) নিয়ে নিয়মিত খাজনা প্রদান করে ২০১৬ ইং পর্যন্ত ভোগ দখল করে আসছিলো” যা সম্পুর্ন গল্পকাহিনী।রাজা-জমিদারী প্রথা আজ থেকে প্রায় একশত বছর আগে বিলুপ্তি হয়।তাহলে রাজাকার আব্দুল বাচেরের(বাচেদ)বর্তমান বয়স কত?তার বর্তমান বয়স (৭০) হলে তিনি কি করে রাজার কাছে জমি লিজ নিলেন?যা সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রচার নীতিমালা বিরোধী ও তথ্য বিভ্রান্তি ভূল ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা মান হানির সামিল।
আব্দুল বাচেদ খার বিষয়ে তার এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হলে একাধিক গ্রামবাসী তার স্বাধীনতার বিরোধীতার কথা স্বীকার করেন।এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা হবিবর,মুক্তিযোদ্ধা লতিফ ও মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম সহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষরিত একটি আবেদন রাজাকার আব্দুল বাচেদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর সহ পুলিশ সুপার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অফিসে দেওয়া হয়।এরেই ফলপ্রসূতিতে রাজাকার আব্দুল বাচেদ কে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলে কয়েকমাস কারাভোগ করেন রাজাকার আব্দুল বাচেদ খা।
এবিষয়ে ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রুকুনুজ্জামান রোকন বলেন,যে অভিযোগের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে সেই অভিযোগটিই ভুয়া।অভিযোগ টি ২০১৫ সালের।ঐ সময় পেয়ারী বেগম আমাকে তার জমি দখল হওয়ার বিষয় টি জানালে আমি ও গ্রামের গন্যমান্য বক্তিবর্গ সহ পেয়ারী বেগমের পক্ষ নেওয়ায় রাজাকার আব্দুল বাচেদ আমাদের কয়েকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৫ সালে থানায় একটি মিথ্যা মামলা করেন।পরে মহামান্য আদালত আমাদের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।তার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে প্রচার-প্রচারণা বিষয়ে বলেন কিছু বিএনপির রাজনীতি করা অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা আওয়ামীলীলীগের ভাবমূর্তি খুন্ন করতেই এইসব অপ প্রচার চালাচ্ছে।সংবাদ প্রচারের বিষয়ে বলেন,যারা সাংবাদিকতার মত মহান পেশার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে অপসাংবাদিকতা করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছেন আমি সেটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি জেলা যুবলীগের আহবায়ক এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল ভাইয়ের সাথে কথা বলে যারা আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে সংগঠনের ভাবমূর্তি খুন্ন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এবিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার বলেন ফেসবুকে কারও প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশমুলক প্রচার প্রচারণা অনাকাঙ্ক্ষিত,এরপর থেকে তথ্য উপাত্ত ছাড়া যেই ফেসবুকে সংবাদ প্রচার করবে অভিযোগ পেলেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।