রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলায় রাজিবপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী। সমন্বয়হীনভাবে একাই কলেজ ফান্ডের অর্থ নিয়ে স্বর্গরাজ্য কায়েম করছেন তিনি। এ নিয়ে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্র নিকট নিষ্পত্তি চেয়ে অভিযোগ দিয়েছেন উপাধ্যক্ষসহ কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর একাংশ।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ডিট অব গিফ্ট এর সময় কলেজের সাধারণ তহবিল ও এফডিআর এ মোট ১২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা স্থিতি ছিল, যা উত্তোলনে ডিজি অফিসের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কলেজ ফান্ডের সেই টাকা উত্তোলণ করে কারও সাথে সমন্বয় না করে বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী। বর্তমানে কলেজের সাধারণ তহবিল ও এফডিআর এর অর্থ শূণ্যের কোঠায় নামিয়েছেন তিনি।
সরকারীকরণ ঘোষণার পর নিয়োগ বন্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। সেটিও উপেক্ষা করে ১০জন শিক্ষক এবং স্ট্যাপিং পেটার্ণ বহির্ভুত ১জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। স্ট্যাপিং পেটার্ণ বহির্ভুত নিয়োগকৃত কর্মচারীকে প্রতি মাসে কলেজ থেকে ৬ হাজার টাকা করে বিলও প্রদান করেন অধ্যক্ষ।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, কলেজটি ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট সরকারীকরণ ঘোষণার পর থেকে ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত হয়। কমিটি বিলুপ্তির পর থেকে অদ্যাবধি এইচএসসি ও ডিগ্রী পযার্য়ে পাস করা শিক্ষার্থীদের মার্কশীট এবং প্রশংসাপত্র বাবদ অত্র কলেজের ভূয়া রশিদ মূলে আদায়কৃত আনুমানিক ৮-১০ লক্ষ টাকা কলেজ ফান্ডে জমা না করে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। কাউকে তোয়াক্কা না করে সরকারী কলেজ এবং কলেজের অর্থ পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায় একক সিদ্ধান্তে ভূয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে অর্থ লুটপাট করছেন অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী প্রতিবেদককে জানান, “অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও স্যার ইনভেস্টিগেশন করুক। অভিযোগের সত্যতা পেলে যেন আমার শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। আর সত্যতা না পেলে যিনি অভিযোগ করেছেন তারও যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নবীরুল ইসলাম জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। এফডিআর থেকে বেতন দেওয়ার জন্য নিষেধ করেছি। সাধারণ তহবিল ও এফডিআর এর লভ্যাংশ থেকে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন প্রদানের একটি নোটিশ দিয়েছি। এফডিআর ভেঙ্গে বেতন দিয়ে থাকলে এবং অন্যান্য বিষয় গুলোও তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।”