রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) সংবাদদাতা ঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা হল রুমে ১২ জানুয়ারী উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভা অনূষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি এক ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ সভাপতির হাতে লাঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে সকল ইউপি চেয়ারম্যান মাসিক সমন্বয় সভা বয়কট করেছেন। জানাযায়, গত ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে গিয়ে কেন্দ্রের ভিতরে আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হককে ধাক্কা ধাক্কি করেন। এর প্রতিকার চেয়ে গত ৯ জানুয়ারী আইন শৃংখলা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ইউপি চেয়ারম্যানরা এর সুষ্ঠ সমাধান দাবি করেন । অদ্যাবধি বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকল ইউপি চেয়ারম্যান সমন্বয় সভা বয়কট করে সভা কক্ষ ত্যাগ করেন। এ প্রসঙ্গে নন্দুয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুলতান সাংবাদিকদের বলেন, একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানকে জনসম্মুখে লাঞ্চিত করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এর সুষ্ঠ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা সকল ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদের সব ধরণের সভা সেমিনার বয়কট করলাম। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, আমি একজন ভোটার সে জন্য ভোট কেন্দ্রে আমার যাওয়ার রয়েছে। কিন্তু যে ভোট কেন্দ্রে আ’লীগ সভাপতির প্রবেশ করার কথা না তার পরও নির্বাচনী আইন অমান্য করে কেন্দ্রের ভিতরে আমাকে লাঞ্চিত করেছে। সভা বয়কট করার সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম, আব্দুর রহিম, আবুল কালাম আজাদ, সফিকুল ইসলাম মুকুল, আব্দুর রউফ। এ ব্যাপারে সমন্বয় সভার সচিব উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান বলেন, বয়কটের বিষয়টি আমি জানিনা কারণ আমি সে সভায় ছিলাম না। সমন্বয় সভার সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হক মাষ্ঠার বলেন, চেয়ারম্যানরা সভা থেকে কেন বের হয়ে গেল এটা আমার জানা নেই। তবে আমি ধারনা করছি ইউএনও সাহেব নাই এ জন্য তারা বের হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক বলেন, এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, লাঞ্চিতের তেমন কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি।
বিজয় রায়, রাণীশংকৈল সংবাদদাতা