আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাও) ঃ
ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈলে সংখ্যা লঘুদের জমি জবর দখলে মহোৎসব চলছে। পাঁচ ওয়ারিশের মধ্যে তিন ওয়ারিশের কাছ থেকে পুরো সম্পত্তির দলিল করেছে হামিদুর রহমান ও রাহেনুর ইসলাম। দলিল গ্রহিতা পক্ষ বিত্তবান সম্পদশালী হওয়ায় সম্পত্তির প্রকৃত ওয়ারিশ সংখ্যা লঘুরা বিপাকে রয়েছে। এ বিষয়ে সৃষ্ট ঘটনায় উভয় পক্ষের মামলা আদালতে চলমান।

উপজেলার পৌরশহরের ভান্ডারা গ্রামের ৪০১ সিএস খতিয়ানের স্বত্তাধিকারী মনোয়ার নাথ’র নামীয় খতিয়ান দেখিয়ে ২০৬৩ দাগের ২৫ শতাংশ জমির দলিল সম্পাদন করে আঃ হামিদ। ভান্ডারা গ্রামের প্রধান মাহমুদের ছেলে আশিরউদ্দিনের ১৫৭ খতিয়ানে ২০৬৩ দাগ উল্লেখ না থাকলেও উক্ত খতিয়ানের মাধ্যমে ৪০০ ও ৪০১ নং দলিল খারিজ করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাণীশংকৈল কার্যালয়ে নব কুমার উক্ত খারিজ বাতিল’র আবেদন করলেও খারিজ বাতিল না করে অফিস কর্তৃপক্ষ খাজনা বহাল রেখেছে।

এস এ ৪৫৭ খতিয়ানে উক্ত দাগের স্বত্তাধিকারী জীবন নাথ ভোগ দখলীয় অবস্থায় পাঁচ(৫) পুত্র সন্তান রেখে মারা যান। আঃ হামিদ জীবন নাথের পাঁচ সন্তানের মধ্যে জগ মোহন নাথ, পঞ্চম নাথ, কানু নাথ’র কাছ থেকে জমি রেজিষ্ট্রি করে নেন কিন্ত অপর দুই ছেলে কিষ্ট মোহন নাথ ও নব কুমার নাথের কাছে জমি রেজিষ্ট্রি নেন নাই। উক্ত সম্পত্তি ৪৫৭ এস এ খতিয়ানে ৪৯,৫০,৫১,৫২ বা ৫৩ ধারামতে রেকর্ডভূক্ত জমির স্বত্তাধিকারীর অপর দুই সন্তান কিষ্ট মোহন ও নব কুমার ওয়ারিশন সম্পত্তির দাবিদার হলে আঃ হামিদ ও রাহেনুর ইসলাম তাদের পাত্তা না বিভিন্ন ভয় ভিতি ও গায়ের জোরে জমি দখলে চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। ফলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কমবিশ্বর নাথ ও নব কুমার সম্পত্তির নায্য পাওনার দাবিতে আদালতের শ্বরনাপন্ন হনর্। কমবিশ্বর নাথ’র প্রতিপক্ষ মোঃ রায়হান তার লিখিত জবাবে ৪৫৭ এস এ খতিয়ানের ২০৬৩ দাগের স্বত্তাধিকারী জীবন নাথের পাঁচ পুত্র সন্তান কিষ্ট মহন নাথ, নব কুমার, জগমোহন, পঞ্চম নাথ ও কানু নাথের কথা স্বীকার করলেও অজ্ঞাত কারনে গায়ের জোরে প্রতিপক্ষ ঝগড়া বিবাদ মামলা মোকদ্দমায় লিপ্ত আছে। এছাড়াও প্রতিপক্ষের জবাবে সংযুক্ত ওয়ারিশন সনদে জীবন নাথের পাঁচ পুত্র সন্তানের কথা উল্লেখ দুই ওয়ারিশকে মৌখিকভাবে অস্বীকার করে সম্পত্তি থেকে বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জীবন নাথের সন্তান কমবিশ্বর নাথ ও নব কুমার তাদের নায্য সম্পত্তি রক্ষায় সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *