বিজয় রায় ঃ
ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল ধুলঝাড়ি গ্রামে জমি জমার জের ধরে আকবর আলী একই গ্রামের হাসান আলী গংয়ের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাও বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফোঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা আনয়ন করে। যাহার এমপিও মামলা নং ২১৮৮/১৭, তারিখ ৩/৮/১৭ইং। মামলার তদন্তকাজে রাণীশংকৈল থানার এএসআই মোঃ আসাদুজ্জামানের উপর দায়িত্ব দেন। তদন্তকালে তিনি বিবাদী গণের পৈত্রিক সুত্রে ভোগ দখলকৃত জমির বেড়া ফেলেন তিনি। তার আইন বিরোধী এ কাজে বাধা দিলে বিবাদীগণকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুমকি দেন। এছাড়াও ভুল তথ্য প্রেরনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। মূলত আকবর আলী তার দাদা কলিমউদ্দিনের জমির অংশিদার হিসেবে গায়ের জোরে অতিরিক্ত সম্পত্তি দখল করে আসছে। যার ফলে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি, মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়ায়। মূলতঃ মতিউর রহমান ১৯৯৪ সালে ৪১১ দলিল মুলে ৯২০৮, ৯২১০, ৯২১৬ দাগের অংশ মোতাবেক সাড়ে ৭ শতক জমি কলিমউদ্দিন নিকট ক্রয় করে ভোগ দখলে রেখেছেন। ৯২০৯ দাগে পাঁচ অংশে সফিরুল গং কোটলা মোহাম্মদের কাছ থেকে ১৬ শতক জমি ক্রয় করে। আকবর গং উক্ত দাগে সফিরুল এর কাছে অংশ হিসেবে ৪ শতক জমি ক্রয় করে ৬ শতক জবর দখলে রেখেছে। আকবরের দাদা ইতিপূর্বে তার অংশের সম্পূর্ণ জমি বিক্রী করেন। তথাপি দাদার অংশ পাওয়ার অজুহাত এনে মামলা মোকদ্দমা ঝগড়া বিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে ভূমি দস্যুদল। তার আরেক দাদা কারবারু নিঃসন্তান সেও তার অংশের ১.০৭ একর জমির জায়গায় ১.২৫ একর জমি বিক্রী করে দেন। আরেক দাদা বসরতের দুই কন্যা ওয়ারিশ সুত্রে সম্পুর্ণ সম্পত্তি তারা বুঝিয়ে পান। প্রকৃতপক্ষে বসরতের ভাই কলিমউদ্দিনের কোরানিক অংশিদার হিসেবে ১১৫.৩৩ শতাংশের স্বত্তাধিকারী। সেখানেও ১.৩৫ একর জমি ভোগ দখলে রাখে। আকবর গং ২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে ৩০.৫ শতাংশ জমি বিভিন্ন দাগে জবর দখল করে আছে। উপরন্ত আকবর গায়ের জোরে ৪০ বছরের বাঁশ ঝাড় উচ্ছেদ করে রাস্তা নেওয়ার নিল নকশা চালিয়ে যাচ্ছে। বাঁশ ঝাড়ের দাগে বিবাদী গণের টাটির বেড়া থানা পুলিশের এএসআই আসাদুজ্জামান ভেঙ্গে ফেলেন যা আইন বহির্ভূত কাজ। উক্ত কাজে বাধা দিলে গ্রেফতার করার হুমকী দেন বিবাদীদের। সফিরুলের কাছ থেকে ২৮/০১/২০১০ সালে আকবর জমি ক্রয় করলেও তদন্তকারি কর্মকর্তা এএসআই আসাদুজ্জামান ১২৭/১৮ বছর আগের কেনা সম্পত্তি দেখিয়ে আরেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ইতিপুর্বে উক্ত সম্পত্তির তদন্তভার নিয়ে রাণীশংকৈল থানার এস আই আবু তালেব, এসআই আক্তার, এসআই আজগর আলী, এএসআই জিল্লুর ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতের মাধ্যমে সমস্যার নিস্পত্তির পরামর্শ দিলেও এএসআই আসাদুজ্জামান বিজ্ঞ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ঠাকুরগাও বরাবরে ভূল তথ্য প্রদান করে ১২/৪/২০১৮ইং তারিখ তদন্ত রিপোর্ট দেন। আনিত অভিযোগের ব্যাপারে স্থাণীয় গণ্য মান্য গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে আপোষ মিমাংশা করা হলেও আকবর গং তা অমান্য করে আইন অমান্য করে আসছে।

এ ব্যাপারে এএসআই আসাদুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে থানায় এসে কথা বলতে বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *