রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার মিল মালিকরা খাদ্য গুদামে চাল বিক্রি করার চুক্তি না করায় খাদ্য অধিদপ্তর শতাধিক হাসকিং মিলকে কালো তালিকা ভূক্ত করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, রাণীশংকৈল উপজেলায় ২৭৬টি হাসকিং মিল রয়েছে। চালের বাজার উদ্ধমূখি হওয়ায় চলতি বোর মৌসূমে ১৫৬ টি মিল মালিক সরকারের সাথে চাল বিক্রির চুক্তি করেননি, ১২০টি মিল মালিক জামানত দিয়ে চুক্তি করলেও তারা অনেকেই চাল দিতে অনিহা প্রকাশ করছে । নেকমরদ খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, যারা চুক্তিবদ্ধ করেছে তাদের চাল ক্রয়ের জন্য হাসকিং মিলে মিলে গিয়ে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি সভাপতি আইনুল হক মাষ্ঠার বলেন, বাজারে চালের মূল্য বেশি হওয়ার কারনে এবার মিল মালিকরা সরকারের সাথে চাল বিক্রির চুক্তি করেননি তারা অনেকেই চাল ব্যাবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে। সরকার চালের প্রতি কেজি মূল্য নিধারণ করেছে ৩৪ টাকা বাজারে চালের মূল্য প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। কেন মিল মালিকরা লোকসান দিয়ে সরকারকে চাল দিবে। আপনার মিল মালিকরা কি পরিমান চাল মুজুত করেছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের তেমন বড় ব্যাবসায়ী নেই, তবে কয়েকজন মিল মালিক চাল মুজুত করেছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিখিল চন্দ্র বর্ম্মন বলেন যারা সরকারের সাথে চাল বিক্রির জন্য চুক্তি করেননি তারা আগামি ২ বছর খাদ্য গুদামে চাল বিক্রি করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশ্রাফু জাম্মন এ প্রতিনিধি কে বলেন, যারা চাল বিক্রির চুক্তি করেননি তারা ২ বছর, আর যারা চুক্তি করেও চাল খাদ্য গুদামে দেবেনা তারা ১ বছর সরকারের সাথে ব্যাবসা করতে পারবে না । ব্যাবসায়ীরা ব্যাক্তিগত গুদামে চাল মুজুত করেছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩০ দিন পর্যন্ত নিজস্ব গুদামে চাল রাখতে পারবেন । এর বেশি দিন হলে তা ভোক্তা অদিকার আইনে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া আমরা বিভিন্ন গুদামে খোঁজ খবর নিচ্ছি কি পরিমান চাল ব্যাবসায়ীরা মুজুত করেছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন