ইউনুছ রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের রোগীদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত নামিদামি ওষুধ পুড়ানোর অভিযোগ উঠলেও এর দায় নিতে চাচ্ছেন না কেউ। রোববার দুপুরে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে মসজিদের পাশের পরিত্যক্ত জায়গায় ওষুধগুলো পুড়ানো অবস্থায় দেখেন মসজিদে নামাজ পড়তে আসা কয়েকজন মুসল্লি।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে মুহুর্তেই হাসপাতাল চত্বরে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। নিজ চত্বরে এমন ঘটনা ঘটলেও না জানার দাবি কতর্ৃপক্ষের। এঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের প্রশাসনিক ভবনের ৩০গজ দূরেই হাসপাতাল মসজিদ। এ মসজিদ লাগুয়া পরিত্যক্ত একটি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের নামিদামি সরকারি ওষুধ পুড়ানো অবস্থায় স্তুপ আকারে পড়ে রয়েছে। ওই মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়েন শাকিল আহমেদ। তিনি জানান, ‘যোহর নামাজের সময় অজু করতে গিয়ে হঠাৎ সামনে কালো একটি স্তুপ চোখে পড়ে।
কাছে গিয়ে দেখি এতে নানা ধরনের ওষুধ পুড়ানো হয়েছে।’ হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রফিকুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, নুরকালাম,
রিয়াজুল হক, শেফালী বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। অথচ সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার ওষুধ পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান তারা।পুড়ানো ওষুধগুলো সরকারি বলে নিশ্চিত করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, কে বা কারা সরকারি ওষধগুলো পুড়িয়েছে তা আমার জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, এঘটনায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.সেলিম মিয়াকে প্রধান করে তিন সদেস্যর
একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবতর্ী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।