রৌমারী উপজেলা সরকারি দপ্তর গুলোতে কর্মকতা শূন্য – আকস্মিক পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী

এ,কে,এম হাসানজ্জামান রৌমারী(কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা প্রশাসনের সরকারি বিভিন্ন দপ্তর গুলোতে কর্মকতার্দের খুঁজে পাওয়া গেল না। সরকারি ছুটি না থাকলেও দপ্তর প্রধানরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের খেয়াল খুশি মতো অফিস করেন। এর ফলে সরকারি সব সেবা সমূহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি গতকাল বৃহৎষ্পতিবার দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত হঠাৎ করেই উপজেলা পযার্য়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধিনে দপ্তর ঘুরে বেশির ভাগ কর্মকতার্র দেখা পেলেন না। সরকারি কর্মকতার্দের ওই দায়িত্বহীনতা নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন’র সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতার্র কাযার্লয়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর, উপজেলা প্রকৌশলীর কাযার্লয়, উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকতার্র কাযার্লয়, মৎস্য অধিদপ্তর, পরিসংখ্যান অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর তালাবদ্ধ ছিল এবং দপ্তরের কর্মকতার্কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকতার্ ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাযার্লয় খোলা থাকলেও কর্মকতার্কে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্র কাযার্লয় বন্ধ থাকলেও তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি অফিসিয়াল কাজে বাইরে ছিলেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ (ভারপ্রাপ্ত) এবিএম সারোয়ার রাব্বী বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের বেশির ভাগ দপ্তর প্রধানরা নিয়ম অনুযায়ী অফিস করেন না-এমন বিষয়টি তাদের জেলা অফিস বারবার অবহিত করা হয়।’
এ বিষয় প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করা হয় না। বৃহষ্পতিবার অফিস না করেই তারা বাড়ি চলে যান এমন অভিযোগ আমার কাছে আসে। আর এ কারনে আমি সরকারি দপ্তর গুলোতে হঠাৎ করেই অভিযান চালাই। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অবহিত করা হবে।’