রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের দাঁতভাঙ্গা-রৌমারী-রাজীবপুর সড়ক এবং রৌমারীর ভোলা মোড় থেকে নতুন বন্দর পর্যন্ত তুরা সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও ফাঁকিবাজির অভিযোগ উঠেছে। সড়ক সংস্কার মজবুত করণের ক্ষেত্রে মরা পাথর ব্যবহার এবং বালির পরিমাণ বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। সড়কের দু’পাশে যে নিয়মে মাটি ফেলার কথা তার অর্ধেকও ফেলা হচ্ছে না। সড়কের যেসব স্থানে গাইড ওয়াল ও প্যালাসাইট নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে রডের পরিমাণ অনেক কম। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তার ইচ্ছে মতো কাজ করছে। সংস্কার কাজ তদারকির জন্য সার্বক্ষণিক প্রকৌশলী থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ সময়ে প্রকৌশলী অনুপস্থিত থাকেন। সরেজমিনে সড়ক ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ওইসব অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের (সওজ) অধিনে দাঁতভাঙ্গা-রৌমারী-রাজীবপুর প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়ক নতুন করে সংস্কারে কাজে দু’টি গ্রুপে প্রায় ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ কাজের বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় আরএবি-আরসি প্রাইভেট ও মেসার্স মজাহার ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
অপরদিকে রৌমারীর ভোলা মোড় থেকে চরনতুন বন্দর পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমটার তুড়া সড়ক উন্নয়নে দু’টি গ্রুপে ৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। দুই লেন বিশিষ্ট তুড়া সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি ৩টি সেতু নির্মাণ করা হবে। এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হলেন ডিএনকো এন্ড রিজবি কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স ময়নুদ্দিন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সংস্কার কাজ তদারকির জন্য কুড়িগ্রাম সওজ’র উপসহকারী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার এবং ওয়ার্ক এ্যাসিস্টান্ট (কার্য সহকারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আকবর হোসেন।
সরেজমিনে রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, দাঁতভাঙ্গা-রৌমারী-রাজীবপুর সড়ক সংস্কার কাজে রাস্তা মজবুতি করনে ঠিকাদার তার ইচ্ছেমতো কাজ করছে। শতকরা ৭৫ ভাগ পাথর ও ২৫ ভাগ বালির মিশ্রণ করার নিয়ম থাকলেও এখানে বালির পরিমাণ বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। যে পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে তা মরা ও নিম্নমানের। সড়কের দুপাশে যে হারে মাটি ফেলার কথা তা করা হচ্ছে না। একই চিত্র পাওয়া গেছে তুরা সড়কেও। তুড়া সড়ক উন্নয়নে নিম্নমানের কাজ করার কারণে এলাকাবাসি নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আবার সেই নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, মরা পাথরের অভিযোগটি আমিও পেয়েছি। পরে গিয়ে দেখি ওই পাথর সিলেটের জাফলং থেকে আনা। দেখতে মরা হলেও আসলে পাথর ভালো। আর নিয়ম অনুসারে যাতে কাজ হয় এ জন্য আমাদের উপসহকারী প্রকৌশলীকে কড়া নির্দেশ দেয়া আছে। ঠিকাদারকে সর্তক করা হয়েছে।