উচহ্লা মারমা বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি
বান্দরবানের লামা উপজেলায় মুজিবুর রহমান মানিকে প্রায় ২.০০ একর জায়গা দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে ও কলা গাছ কেটে ফেলছে চিহ্নিত ভূমিদস্যু মোহাম্মদ উল্লাহ। উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেউন্দা মুসলিম পাড়ায় শুক্রবার (১৪ই আগস্ট ২০২০ইং) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে বিচার চেয়ে জায়গার মালিক মুজিবুর রহমান মানিক (৪৫), পিতা- দেলোয়ার হোসেন, এই বিষয়ে ফাইতং মোহাম্মদ উল্লাহ (৫৫), পিতা- মৃত আমির হোসেন সহ ৪ জনকে আসামী করে ১৪ আগষ্ট ২০২০ ইং বিকালে ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জায়গার মুজিবুর রহমান মানিক সরকার ২০০৬ সালে আমির হামজা, পিতা- নৈমুদ্দিন থেকে লামার ৩০৬নং ফাইতং মৌজায় আর হোল্ডিং- ২৩৪ এর ২ একর জায়গা ক্রয় করে। এবং গাছ বাগান সৃজন করে। উক্ত জায়গা ও বাগান কেয়ার টাকার দ্বারা পরিচালনা করে। গত বছর গাছ বাগানটি বিক্রয় করে দেয়। পরে জায়গাটিতে কিছু কলা এবং কিছু ফসল ক্ষেত করে কিন্তু মোহাম্মদ উল্লাহ কয়েকজন সন্ত্রাসী দিয়ে প্রায় ১০/১৫ টি কলা গাছ কেটে পেলে এবং লেবু বাগানের ব্যাপক ক্ষতি করে। এবং বিভিন্ন সময় কর্মচারীকে প্রণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
জায়গার মালিক মুজিবুর রহমান মানিক জানায়, আমি উক্ত জায়গা ১৬ বছর যাবৎ ভোগদখলে আছি। কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ চিহ্নিত ভূমিদস্যু মোহাম্মদ উল্লাহ উক্ত জায়গা দখল নেওয়ার জন্য বার বার হামলা চালায় এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে। এমনকি আমার কেয়ারটেকারকেও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে থাকে। কিন্তু মোহাম্মদ উল্লাহ আমার কলা গাছ কেটে আমার বিরুদ্ধে গত ১৬ আগষ্ট ২০২০ ইং লামা আবারো একটি মামলা করে। মামলার তদন্ত সাপেক্ষে লামা সার্কেল অফিসার রেজওয়ানুল হক ঘটনাস্থলে আসেন।
এই বিষয়ে মানিকের কেয়ারটেকার জানায়, আমি দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ মুজিবুর রহমান মানিকের কেয়ারটেকারের দায়িত্বে আছি। কিন্তু মোহাম্মদ উল্লাহ নামের ব্যক্তিটি আমাকে এবং আমার পরিবারকে উক্ত যায়গা থেকে চলে যেতে বলে এবং মামলার হুমকি দিয়ে থাকে।
স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ জানায় জায়গাটি মূলত মুজিবুর রহমান মানিকের, কিন্তু মোহাম্মদ উল্লাহ ভূমি লোভী, সে মানুষের জায়গা দখল করে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বিক্রি করে।
মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, জায়গাটি আমার এবং কলাগাছ আমি রোপন করেছি।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার কামাল হোসেন বলেন, আমার জানামতে জায়গাটি মূলত মুজিবুর রহমান মানিকের। মানিক উক্ত জায়গা দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছেন। আর মোহাম্মদ উল্লাহ একজন ভূমিদস্যু। সে বিভিন্ন সময় মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে এবং মানুষের জায়গা দখল করে নেয়।
এ বিষয়ে লামা সার্কেল অফিসার রেজওয়ানুল হক বলেন, তদন্তের সার্থে এই মূহুর্তে কিছু জানানো সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন- দুই পক্ষ আমাকে লিখিত অভিযোগ করেন এবং অভিযোগের পেক্ষিতে আমি উভয় পক্ষকে নোটিশ করেছি।