লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে এক শিক্ষকের জেল জরিমানা হওয়ার ৩ মাসের অধিক হওয়া সত্বেও কতর্ৃপক্ষ তার বির“দ্ধে অদ্যাবধী কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপরোন্তসাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক বিদ?্যালয়ে কর্মরত থেকে নিয়মিত বেতনসহ সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। সাজা প্রাপ্ত ভরত চন্দ্র রায় অত্র উপজেলার শিয়াল খোওয়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক এবং গোড়ল গ্রামের মৃত. তরনী কান্ত রায়ের পুত্র। মামলার সংক্ষিপ্ত সূত্রে জানা গেছে, একই উপজেলার শিয়াল খোওয়া গ্রামের আ: খালেকের পুত্র আবুল বাসার বাবু’র নিকট থেকে চেকের মাধ্যমে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা ধার নেয়। দীর্ঘদিনেও উক্ত টাকা পরিশোধ না করে টালবাহানা করতে থাকে। পরে উক্ত আবুল বাসার বাদী হয়ে বিজ্ঞ সাব জজ-২ কালীগঞ্জ আদালতে তার বির“দ্ধে গত ২৬/১১/১৭ ইং তারিখে একটি মানিস্যুট মামলা দায়ের করেন। যার সেসন নং ৭২/১৮ । মামলাটি দীর্ঘদিন বিচারাধীন থাকার পর গত ২১/১১/১৯ ইং তারিখে বিজ্ঞ জেলা যুগ্ম দায়রা জজ আমলী আদালত আসামী ভরত চন্দ্র রায়ের বির“দ্ধে রায় প্রদান করেন। রায়ে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ৮ মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। বিজ্ঞ আদালত প্রতারক শিক্ষক ভরত চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করার জন্য গত ১৯/১/২০২০ ইং তারিখে কালীগঞ্জ থানা পুলিশকে আদেশ প্রদান করেন। যার স্মারক নং ১৫৪(৭২)। কিন্তু থানা পুলিশ দীর্ঘদিনেও আদালতের নির্দেশ কার্যকর করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও শিয়াল খোওয়া স্কুল এন্ড কলেজ কতর্ৃপক্ষ তার বির“দ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। এ ব্যাপারে শিয়াল খোওয়া স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি প্রভাষক আ: সালামের সাথে মুঠোফোনে গত বৃহস্পতিবার ৩টা ৪১ মিনিটে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা আদালতের এধরনের কোন নির্দেশনা পাইনি। তবে এ রকম নির্দেশনা পেলে উক্ত শিক্ষকের বির“দ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমার জানা মতে গত বুধবার তাকে প্রতিষ্টানে কর্মরত দেখেছি। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরজু মো: সাজ্জাদ হোসেনের সাথে গত বুধবার মুঠোফোনে ৪ টা ২৮ মিনিটের সময় কথা বললে তিনি বলেন, ওই শিক্ষক পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য চলবলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজু এই খবরটি না লেখার জন্য অনুরোধ করেন। শিয়ালখোওয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ম্যানেজিং কমিটি সিন্ধান্ত না নিলে আমার করার কিছু থাকে না।
উলেখ্য থাকে যে, কালীগঞ্জ থানায় সিআর, জিআর ও সাজাপ্রাপ্ত সহ মোট ৫২৬ জন আসামীর বির“দ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে বলে সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে জিআর ২৮৮, সিআর ২৩০ ও সাজাপ্রাপ্ত ১৮ জন আসামী রয়েছে। ৫২৬ জনের মধ্যে মাত্র ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব আসামীদের বির“দ্ধে হত্যা, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতন, মারামারি, মাদক ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট আছে। মামলার বাদী আবুল বাশার বাবুর পিতা আ: খালেক বলেন, প্রতারক শিক্ষক ভরত চন্দ্র রায় নিয়মিত তার কর্মস্থলে যাতায়াত করলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাকে গ্রেফতার করছে না।