লালমনিরহাট অফিস
লালমনিরহাটের ৫উপজেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা। গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের পাড়া-মহল্লা, অলিগলিসহ সব জায়াগায় পাওয়া যাচ্ছে ফেন্সিডিল ও গঁাজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক। আর এই সব কাজে মদদ দেয়ার পাশাপাশি অনেকটা প্রকাশ্যে মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে খোদ পুলিশের এক সহকারী দারোগার বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে মাদক সেবন করছেন লালমনিরহাট কোর্টে সাবেক কর্মরত পুলিশের এএসআই মাহমুদুল হাসান। শুধু সেবন নয়, মাদকের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে জেলার একাধিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। জেলা সদর  উপজেলাসহ ৫টি উপজেলায় মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী, দহগ্রাম আঙ্গুরপোতা সহ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে দেদারছে পাচার হয়ে আসছে সর্বগ্রাসী মাদকদ্রব্য। এছাড়াও হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা, কেতকিবাড়ী, দইখাওয়া, বনচৌকি, কালীগঞ্জ উপজেলার  চামটার হাট, চন্দ্রপুর, বুড়িরহাট, জাউরানি, আদিতমারীর উপজেলার দর্গাপুর, লোহাকুচী, এবং সদর উপজেলার মোগলহাট, কুলাঘাট ও বড়বাড়ীর কলাখাওয়াঘাট এলাকা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল ও গঁাজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক অবাধে পাচার হয়ে আসছে। সীমান্ত এলাকাগুলোতে হরহামেশা চোখে পড়ে প্রকাশ্য মাদক সেবনের দৃশ্য। আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি, হাজীগঞ্জ, দুলালী, মরিচবাড়ি, মান্নানের চৌপথি, কুমড়িরহাট, কমলাবাড়ি, দুরাকুটি মাদক ব্যবসার জন্য নিরাপদ মনে করছে মাদক কারবারিরা। পুলিশের ছত্র ছায়াতেই মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন উল্লেখিত স্থানের সচেতন মানুষ। এব্যাপারে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা। যুব সমাজ রক্ষায় মাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। তাই  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপড়তা বাড়ানো জরুরি বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। পুলিশের খোদ এক সহকারী দারোগার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে বিজ্ঞ মহলকে। এদিকে প্রকাশ্যে মাদক সেবনের অভিযোগে উক্ত এএসআই মাহামুদুল হাসানকে প্রথমে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয় । তার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টালি ব্যবস্থা গ্রহন না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরবর্তীতে তাকে কুড়িগ্রাম জেলায় বদলি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
 
 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন