লালমনিরহাট প্রতিনিধি। লালমনিরহাট শহরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।গত ১ সপ্তাহে সাংবাদিক,ম্যাজিষ্ট্রেট,ব্যবসায়ীর বাসা-বাড়িতে ডাকাতি,স্বর্নালংকারসহ নগত টাকা লুট ও দোকানপাট অহরহ চুরি ও ব্যবসায়ীকে মারপিট করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।পবিত্র ইদেরদিন বিকেলে শহরের বালাটারীস্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, প্রকৌশলী ও যমুনা টিভির সাংবাদিক আনিছুর রহমান লাডলাসহ ৩টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।ডাকাতরা একই ফ্লাটের ৩পরিবারের স্বর্নালংকারসহ প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।এ ছাড়াও গত শুক্রবার ৩০ জুন দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ১২ টার সময় শহরের মিশন মোড়ের পলাশী হোটেলের সামনে মানিক ব্যাটারীঘড় দোকান মালিক আশরাফকে মারধোর করে বিপুল পরিমান টাকা লুট করে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় ব্যবসায়ী আশরাফ ইসলাম উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে। সে চতুর্থ তলার ৪ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। যার রেজিঃ নম্বর ৬৩৮২/৬ তারিখ-০১/০৭/২০১৭। রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসা ফেরার পথে বিডিআর হাটে এঘটনার শিকার হন মানিক ব্যাটারী দোকানের মালিক আশরাফুল ইসলাম আশরাফ। এসময় তার চিৎকারে ছেলে মানিক এগিয়ে আসলে তার উপর হামলা চালায় ছিনতাইকরীরা। পরে বাসাবাড়ীর উপর হামলা চালানো হয়। এঘটনায় রাতেই পুলিশ অভিযোগ নিলেও এরিপোর্ট লেখা পর্যš মামলা রেকর্ড করেনি বলে জানা গেছে।এদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে সাবেক ডিসি মন্জুরুল আলমের জামাতা লালমনিরহাট ডায়াবেটিস সমিতির সাধারন সম্পাদক ময়নুল ইসলামের বাসাতে ডাকাতি সংঘঠিত হয়।বাসায় কোন সদস্য না থাকার সুবাধে ডাকাতরা বাসার পিছন দিয়ে ওয়াল টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে নগত টাকা, সাড়ে ১২ভরি স্বর্নালংকার ও সাড়ে ৩শ ৫০ ডলারসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন,তবে পুলিশ কোন ডাকাতকে গ্রেফতার করতে পারেনি।গত ১সপ্তাহে চুরি,ডাকাতি, গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ফ্যান চুরি ও ছিন্তাইসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক ঘটনা ঘটছে।ফলে বর্তমানে শহরে আইন শৃংখলার চরম অবনতি হয়েছে।বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ড সংঘঠিত হওয়ার পরেও থানা পুলিশ কোন অপরাধী বা ডাকাতকে গ্রেফতার করতে পারেনি।তবে এঘটনায় অনেক নিরীহ মানুষকে গণ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতনসহ অর্থ বানিজ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।তবে অর্থ বানিজ্যের ঘটনায় পুলিশ সুপার বাদল ও সেলিম নামের ২ দারোগাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।সচেতন মহল বলেন, সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম যোগদানের পর হতে মাদক নির্মুল ও বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থ বানিজ্য করার কারনে বর্তমানে শহরের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে।এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং ইতিমধ্যে বেশকিছু অপরাধীকে গ্রেফতারসহ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।শহরের আইনশৃংখলার অবনতির ঘটনায় ফুসে উঠেছে সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।তারা বর্তমান ওসির দ্রুত বদলীর দাবী জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *