লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

কেককাটা, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে লালমনিরহাটে ছিটমহল মিনিময়ের ৮ম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো ৩১ জুলাই রাত ১২টা ১মিনিটে সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বিলুপ্ত ছিটমহল সালেহা খাতুন সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিলুপ্ত ছিটমহল ভিতরকুটি বাঁশপঁচাই আওয়ামীলীগের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি হারুন অর রশীদ-এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, কবি ও সমাজসেবক ফেরদৌসী বেগম বিউটি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিকে গত ৮বছরে পাল্টে গেছে বিলুপ্ত ছিটের দৃশ্ব্যপট। সন্ধ্যা হলেও জ্বলে উঠে বিদ্যুৎ। আলোয় আলোকিত হয় চার পাশ। জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ হয়েছে কালভার্ট, পাকা সড়ক। হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, মসজিদ – মন্দির ঈদগাহ মাঠ, শহিদ মিনার। বিলুপ্ত ছিটের বাসিন্দাদের মূলধারায় ফিরে আনতে দ্রুত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ সকল সরকারি সুবিধার আাওতায় আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১আগষ্ট মধ্যরাতে ভারত-বাংলাদেশের মোট ১৬২টি ছিটমহল পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে নিজ নিজ দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতের ১১১টি সাবেক ছিটমহলের পরিসমাপ্তি ঘটে। অবসান হয় ৬৮ বছরের বন্দিজীবনের। দেশের ৪টি জেলার মধ্যে লালমনিরহাটে ৫৯, কুড়িগ্রামে ১২, নিলফামারীতে ৪ ও পঞ্চগড় জেলায় ৩৬সহ মোট ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহল রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *