লালমনিরহাট অফিস \
লালমনিরহাটে প্রেমের টানে নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গত ৮ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫টায় লালমনিরহাট শহরের বিডিআর হাট নিজ বাসায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিখেঁাজ ছেলের বাবা মাসুম পারভেজ। এসময় জেলায় কর্মরত ৩৫/৪০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী মাসুম পারভেজ লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী ও পেশায় একজন ব্যবসায়ী। আজ আমার বড় ছেলে সাদেক আলী পারভেজ সোয়াদ (২১) নিখোঁজ রয়েছে। আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমার বড় ছেলে আমার ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে সব সময় সহযোগীতা করে আসছিলো। কিন্তু হঠাৎ গত ৪ অক্টোবর রাত ৯টার পর থেকে আমার ছেলে নিখোঁজ রয়েছে। সে নিখোঁজের পর আমি আমাদের সকল আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে আমার ছেলের সন্ধান না পেয়ে গত ৫ অক্টোবর লালমনিরহাট সদর থানায় একটি জিডি করতে যাই। কিন্তু জিডি করতে গিয়ে থানা গেট এলাকায় খবর পাই, আমার ছেলে সাদেক আলী পারভেজ সোয়াদ লালমনিরহাট জেলাধীন শেখ শফিউদ্দিন কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এন্তাজুর রহমান এর মেয়ে (১৮) কে নিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি শুনে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। মাসুম পারভেজ আরও বলেন, ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলের অনেকদিন থেকে প্রেম ভালবাসার সম্র্পক ছিল। যা আমি শুনার পর ছেলেকে অনেক শাসন করেছি। এছাড়াও ওই মেয়ের ২০১৯ইং সালের কোন এক জম্মদিনসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরার সেলফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দুজনের ফেসবুকে আপলোড করার অপরাধে শেখ শফিউদ্দিন কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এন্তাজুর রহমান বাদী হয়ে ডিজিটাল আইনে আমার ছেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৫, তাং-১৯/১০/১৯ইং। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এর মাঝে গত ৪ অক্টোবর থেকে আমার ছেলে নিখোঁজ রয়েছে। সে কোথায় কিভাবে আছে তাও আমি জানি না। এ ঘটনায় আমি থানায় কোন জিডি করতে পারিনি। অথচ একটি প্রভাবশালী মহলের মিথ্যা মামলার হুমকি ধামকিতে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ অবস্থায় আমি আমার ছেলেকে ফিরত পেতে চাই এজন্য আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে শেখ শফিউদ্দিন কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এন্তাজুর রহমানের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ  শাহা আলম বলেন, অধ্যক্ষের মেয়ে অপহরণ হয়েছে বলে সোয়াদের বিরুদ্ধে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া উক্ত ঘটনায় ইতিপূর্বে থানায় একটি ডিজিটাল আইনে মামলা আছে। এজন্য তাদের নিখোঁজ জিডি নেয়া সম্ভব হয়নি।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন