ওয়ালিউর রহমান রাজু,লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল কিছুটা কমে যাওয়ায় লালমনিরহাটে বুধবার বন্যা পরিস্থিতি সার্বিক উন্নতি হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হলেও বুধবার ভোর থেকে তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে পানি কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পাউবো। এছাড়াও জেলার ছোট-বড় সবকয়টি নদ-নদীর পানিও অব্যাহত ভাবে কমছে। ফলে বেশ কয়েকটি বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। তবে এখনো নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকা গুলোতে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। পানিবন্দী এসব মানুষের রাত কাটছে নির্ঘুম। বিশুদ্ধ পানি, খাবার সংকটে দিন কাটছে খেয়ে না খেয়ে। কারো কারো মাঝে দেখা দিয়েছে নানা পানি বাহিত রোগব্যাধি। বন্যা দুর্গত এলাকার ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে। তবে বন্যার্তরা জানিয়েছেন তা প্রয়াজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি বুধবার ভোর থেকে কমে বিপদ সীমার ১০ সেঃ মিঃ নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মোঃ আলা উদ্দিন খাঁন মঙ্গলবার রাতে জানান, সদর উপজেলায় ৫হাজার, আদিতমারী উপজেলায় ৩হাজার হাতীবান্ধা উপজেলায় ৯হাজার ২৫৮টি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ৫ মেট্রিকটন জিআর চাল,নগদ ৬লক্ষ টাকা ও ১হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।