লালমনিরহাট প্রতিনিধি ॥
লালমনিরহাট ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিঃ লালমনিরহাট জোনাল অফিস এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের পাওনা টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের পায়তারা চালাচ্ছে। তাদের প্রতারণার ফলে শতশত গ্রাহক তাদের পাওনা টাকা না পেয়ে চরম হতাশার মধ্যে পড়েছে। জানা যায়, ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিঃ সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাটেও জোনাল অফিস দিয়ে তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। ইন্সুরেন্সের কার্যক্রম অনুযায়ী জেলার শতশত গ্রাহক তাদের ইন্সুরেন্সের সদস্য হয়ে পলিসি করতে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী ১০ বছর মেয়াদী বীমার করার বিধান ছিল। সে অনুযায়ী ইতিমধ্যে শতশত গ্রহকের পলিসির মেয়াদ শেষও হয়েছে। সে অনুযায়ী গ্রাহকরা তাদের বীমার টাকা পাওয়ার কথা ছিল যথাসময়ে। কিন্তু শতশত গ্রাহকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অফিসের কর্মকর্তারা গ্রাহকদের টাকা না দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ঘুরাতে থাকে। গ্রাহকরা জানায়, আমাদের পলিসি করার সময় বলা হয়েছিল মেয়াদ শেষ হওয়া মাত্রই আপনাদের টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে হচ্ছে উল্টোটা। গ্রাহকরা তাদের পলিসির টাকার জন্য অফিসে গেলে কর্মকর্তারা দুরদুর করে তারিয়ে দেয়। শহরের সুরকিমিল কলোনী এলাকার সামছুল হক মাষ্টারের কন্যা শিরিন সুলতানা (শিক্ষিকা) ও তার স্বামী শাহাবুল ইসলাম, হোসনে আরা বেগম ও তার স্বামী সাংবাদিক ওয়ালিউর রহমান সহ অসংখ্য গ্রাহকের পলিসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে দীর্ঘদিন আগেই। তারা তাদের পাওনাকৃত টাকা নেয়ার জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় অফিসে গেলে ওই অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, এক বছর ঘুরেছেন আরো এক বছর ঘুরতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। অফিসের ইনচার্জ প্রধান তোজাম্মেল হোসেন অফিসে নেই কেন জানতে চাইলে অফিস ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকদের পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করার কারনে অফিস প্রধান তোজাম্মেল হোসেন অফিসে না এসে বাড়ীতে পালিয়ে থাকেন। অফিস ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম আরো বলেন, অফিসে কিছু সমস্যার কারনে এসব গ্রাহকদের টাকা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে কিছু দিনের মধ্যেই গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করা হবে বলে ইতিমধ্যে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাঠকর্মী হোসনে আরা বেগম বলেন, আমি অফিসের লোককে ১৩ মাস ধরে তাগিদ দিতে দিতে ক্লান্ত হয়েছি। কিন্তু তারা আমার আবেদন আমলে নিচ্ছে না। এদিকে শাহাবুল নামের ব্যক্তিটি মারা গেলেও তার পাওনা টাকা অধ্যাবদি তার পরিবারকে দেয়া হয়নি। এব্যাপারে অফিস প্রধান তোজাম্মেল হোসেনকে তার ০১৭৩০০৫২৬৮৮ নাম্বারে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩মিনিটে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এবিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়ের সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগ গুলো লিখিত ভাবে দেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। অসংখ্য গ্রাহক সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা তারা আত্মসাৎ করে রাতারাতি পালিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আমরা আসংখা করছি। আর এ কারনেই অফিসের সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।