লালমনিরহাট প্রতিনিধি\ লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের অনিয়ম, দুনর্ীতি ও উদাসীনতার কারনে শত শত একর জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। বেদখলকৃত জমি উদ্ধারে রেল কতর্ৃপক্ষ গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এইসব জমি কতিপয় রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও রেলওয়ে কর্মকর্তা- কর্মচারী জবর দখল করে নিয়েছে এবং বসত ভিটা তৈরী করে বছরের পর বছর অবৈধভাবে ভোগ দখল করে খাচ্ছে। বেদখল বা জবরদখলকৃত জমি উদ্ধারে রেল কতর্ৃপক্ষ দীর্ঘদিনেও কোন কার্যকরি ভুমিকা রাখার কোন নজীর নেই। রেলওয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলীর বাংলোর দক্ষিনে কয়েক একর জমি দীর্ঘ দিন থেকে (অবঃ) রেল কর্মচারী খয়বরসহ একাধিক ব্যক্তি দখল করে বসত ভিটা তৈরী করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়ের লালমনিরহাট ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা রেজুয়ানুল হক ও প্রধান ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা রেজাউল করিম যোগসাজস করে জবর দখলকারীদের সাথে আতাঁতের মাধ্যমে প্রতি বছর অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু জমি নয়, লালমনিরহাট থেকে মোগল ১০ কিঃ মিঃ রেল লাইনসহ বিভিন্ন স্থানের জমি সংরক্ষন করা রেল লাইন উধাও হয়ে গেছে। ডি আর এম অফিসের সামান্য উত্তরে বিডি আর গেট এলাকায় রেল লাইনের আশেপাশে অসংখ্য জমি বেখল করে নিয়েছে কতিপয় ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে রেল কতর্ৃপক্ষ টু শব্দটুকু করছেন না। এ বিষয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে (ভারঃ) এষ্টেট অফিসার রেজুয়ানুল হক বলেন, এইসব জমি উদ্ধারে আমার দায়িত্ব নয়,এ দায়িত্ব আই ডাবলু সাহেবের। এ ব্যাপারে বিভাগীয় ম্যানেজার তপন কুমারের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। সম্প্রতি এইসব বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারের জন্য রেল মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হলেও তারা আমলে নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। সচেতন মহল বলছেন, রেলওয়ে কর্মকর্তারা রেলের সম্পদ রক্ষা করার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন না। তারা নিজেদের পকেট ভারী করতে সার্বক্ষনিক ব্যস্ত রয়েছেন। এ কারনে শত শত একর জমি বেহাত হলেও তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।