লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১নং খুনিয়াগাছ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন সংকট থাকায় চরম ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীদের।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারনে প্রায় ১৮ মাস পরে দেশের স্কুল কলেজ গুলো খুলে দেয়া হয়। এদিকে জেলা সদরের ১নং খুনিয়াগাছ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬টি শ্রেনী কক্ষ থাকায় ভোগান্তি পোয়াতে হয়েছিল শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে শিক্ষাসুচী ও স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী সব শ্রেনীর ক্লাস একই দিনে না থাকায় ভোগান্তি কিছুটা কম থাকলেও সামনে পরিস্থিতি স্বাবাভিক হলে চরম ভোগান্তি পোয়াতে হবে শিক্ষারর্থীদের। বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে গেলে পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, খুব কষ্টে গাদাগাদি করে আমরা ঠিকমত ক্লাস করতে পারিনা গাদাগাদি করে ক্লাস করায় চিৎকার চেচামেচিদের জন্য স্যার ম্যাডামদের কোন কথাই ভালো করে বোঝা যায় না। যদিও এখন স্কুলে ঠোকার সময় স্যার ম্যাডামরা আমাদের জ্বর আছে কিনা পরিক্ষা করার পর মুখে মাস্ক পরে ফাকা ফাকা করে বসিয়ে ক্লাস করাচ্ছে। তাই এখন আমাদের পড়াশুনায় কোন সমস্যা হচ্ছে না। জানা যায়, ২৩ একর জায়গার উপর অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক আছে ১০জন ও শিক্ষার্থী রয়েছে ৩২০ জন। স্কুলের পাশেই এক শিক্ষার্থীর বাবা সুরুজ মিয়া বলেন, এই স্কুলোত বেশি ঘর না থাকায় ছাওয়া পাওয়ারা খুব কষ্ট করি পরা পরে। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি স্কুলের শ্রেনী কক্ষ সংকট নিয়ে লেখালেখি করতে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই বলেন, ২০০৬ সাল থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। শ্রেনী কক্ষ সংকটের কারনে ছাত্র ছাত্রী সহ আমরা শিক্ষকরা অনেক কষ্ট করেছি। জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ যারাই স্কুল পরির্দশনে আসেন শ্রেনী কক্ষ সংকট দেখে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস জানিয়ে আসছেন। কিন্তু আজ অবধিও কোন ভবন পেলাম না যে কষ্ট সে কষ্টই রয়ে গেলো। এমনকি প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয়েও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। তিনি সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে শ্রেনী কক্ষ সংকটের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের অনুরোধ জানান। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার, চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন