লালমনিরহাট অফিস \ লালমনিরহাট ৩ আসনের সংসদ সদস্যের বরাদ্ধ কৃত ননসোলার ও টি আর কাজে ব্যাপক লুট পাটের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার কাজে মাটি ভরাট না করে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহন করে ভুয়া মাষ্টার রোল পি আই ও অফিসে জমা দিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। সুত্র মতে, গত ২০১৯-২০ ইং অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার টি আর কাবিখা প্রকল্পের আওতায় সংসদ সদস্যের ২৪ টি প্রকল্প বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল। লালমনিরহাট ৩ আসনের জাতীয় পাটির এমপি জি এম কাদেরের নির্বাচনী এলাকার এসব প্রকল্প বরাদ্ধ দেয়া হয়। তার মধ্যে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ১ টি প্রকল্পের সংস্কার কাজের জন্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। যার প্রকল্প নং-০৭০৪১৩ ও ০৭০৪১৪। খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে ২টি প্রকল্পের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ছাত্র সমাজের নেতা জাকিরুল ইসলামকে। প্রকল্প গুলো হলো সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের র্যাবের বাজার হতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজ। যার প্রকল্প নং-০৭০৪১৩। অভিযোগ উঠেছে ওই প্রকল্পের দায় সারা গোছের মাটি কেটে ভুয়া মাষ্টার রোল পি আই ও অফিসে জমা পুর্বক বিল উত্তোলন করে বরাদকৃত টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এছাড়াও অপর প্রকল্পটি র্যাবের বাজার হতে পাঙ্গাটারীর শেষ মাথা পর্যন্ত কাজের জন্য মাটি ভরাটের বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের ক্ষেত্রে একইভাবে লুটপাট করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এলাকাবাসী আরো বলেন, প্রকল্প ২টিতে কোন কাজেই হয়নি। লোক দেখানো কোন রকমে মাটি কেটে বরাদ্ধকৃত টাকা সকলে মিলে আত্বসাৎ করেছে। রাস্তাটি যে অবস্থায় ছিল তা খানাখন্দেই পড়ে আছে। রাস্তার কোন কাজ না করে সরকারি টাকা লুটপাটের ঘটনায় চরম ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন এলাকাবাসী। প্রকল্প এলাকার আওয়ামীলীগ ও বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বলেন, আমাদের ৩ আসনের সংসদ সদস্য জি এম কাদের ভোট নিয়ে চলে যান। এলাকার কোন উন্নয়ন না করলেও তঁার নেতাকর্মীদের মোটা তাজা করার জন্য বেশ কিছু কাজের বিপরীতে টাকা এনে কোন রকমের লোক দেখানো কাজ করে সরকারে সমস্ত টাকা আত্বসাৎ করে তারা নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন করছে। তারা এই বিপুল পরিমান সরকারি অর্থ লুটপাটের বিষয়টি তদন্ত পুর্বক দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জোড় দাবী জানিয়েছেন। এব্যাপারে প্রকল্প চেয়ারম্যান জাকিরুলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তার দেখা পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি আই ও) মো: মসিয়ার রহমান বলেন, এধরনের কোন অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।