আশানুর রহমান আশা বেনাপোল– “মুজিব বর্ষের প্রতিশ্রুতি, জোরদার করি দুর্যোগ প্রন্তুতি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এবার যশোরের শার্শায় নানা আয়োজনে পালিত হলো আন্তজার্তিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস।
বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আন্তজার্তিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে উপজেলা চত্বরে ভুমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে উপজেলা হল রুমে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌসসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জন প্রতিনিধিগণ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দুর্যোগ সহনশীল দেশ গড়তে কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি না থাকলে শুধু জানমালের ক্ষতি নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়নই ব্যাহত হতে পারে। তাই এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ দেশ হওয়ায় প্রস্তুতির বিষয়টি আমাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। তবে সচেতনতার কারনে পূর্বেও চেয়ে বর্তমানে বিশেষ করে উপকুলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রাণহানি কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। তবে বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরও অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উপকূল ও বন্যা প্রবণ এলাকায় দুর্যোগ সহনশীল টেকসই অবকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি বলে মনে করেন বক্তারা। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজন ব্যাপক প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে এ দুটি কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার কোন বিকল্প নেই।
জানা যায়, দুর্যোগের কারণে প্রতিবছর সারা বিশ্বে জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করার কোনো উপায় এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে এ বিষয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি থাকলে ক্ষয়ক্ষতি নুন্যতম পর্যায়ে সীমিত রাখা সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা কারণে বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে। ফলে দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস।