ঢাকা সংবাদদাতা

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ৭৫-এর ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের উপর নগ্ন হামলা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতার সময় তারা বন্ধ করে দিয়েছিল দৈনিক বাংলা, টাইমস্, বিচিত্রা, আনন্দ বিচিত্রা, আর বর্তমানে বন্ধ করেছে দৈনিক আমারদেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি। সকল কিছু মিলিয়ে প্রমানিত হয় আওয়ামী লীগ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিশ্বাস করে না। সংবাদ মাধ্যম বার বার আ’লীগের আগ্রাসনের শিকার হয়েছে।
শুক্রবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ন্যাপ নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু‘র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আনছার রহমান শিকদার, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, ওলামা ন্যাপ সমন্বয়কারী মাওলানা জাকির হোসেন বাহাদুর, যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল-কাউছারী, জাতীয় ছাত্রকেন্দ্রের আহ্বায়ক সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ১৯৭৫-এর ১৬ জুন বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্পে নেমে এসছিল কালো অমানিশার ঘোল অন্ধকার। সূচনা হয়েছিল এক কলংকময় ইতিহাসের। আওয়ামী লীগ আর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা একসাথে চলতে পারে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে পদদলীত করেছিল। ৪টি সংবাদপত্র নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রেখে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল।
তিনি বলেছেন, একটি গণতান্ত্রি রাষ্ট্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অত্যন্ত জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, আওয়ামী লীগ সকল সময়ই ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রন করেছে আর সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে টুটি চেপে হত্যা করেছে। বর্তমানেও আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে কলংকিত করেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী একদদলীয় ও ভোটারবিহীন নির্বাচন করে গণনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে রুদ্ধ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোন বিকল্প নাই। গণতন্ত্রের স্বার্থেই সরকারের উচিত অবিলম্বে বন্ধ সকল গণমাধ্যমকে চালু করার ব্যবস্থা করা। অন্যথায় ইতিহাসের কাঠগড়ার দায় থেকে আওয়ামী লীগ কখনো মুক্তি পাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *