বিশেষ প্রতিবেদনঃ
কুড়িগ্রামে অবহেলা আর সংরক্ষণের অভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে পুরাকীর্তি। জেলায় অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত প্রাচীন মসজিদ, মন্দির ও রাজবাড়িসহ ২৫টি পুরাকীর্তির মধ্যে মোগল আমলে নির্মিত ৩টি মসজিদ ও একটি জমিদার বাড়ি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। কিন্তু বাকিগুলো সংরক্ষণের অভাবে ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পুরাকীর্তিগুলো। তবে এর মধ্যে নাগেশ্বরী উপজেলায় অবস্থিত কাচারি পয়রাডাঙ্গা এলাকার ২টি শিব মন্দির, বাঁশেরতল শিবমন্দির, কামাক্ষা মাতা ঠাকরানী মন্দির। উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণি এলাকায় অবস্থিত শিবমন্দির ও দোল মন্দির, ধরণীবাড়ি জমিদারের মুন্সীবাড়ি এবং ফুলবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত নাওডাঙ্গার জমিদারবাড়ি ও শিবমন্দির,ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া মুঘল আমলের মীর জুমলার প্রাচীন জামে মসজিদ ও সোনাহাট প্রাচীন শ্যামাকালী মন্দির উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া মোগল আমলে নির্মিত একাধিক মসজিদও রয়েছে। অপরূপ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদগুলো হচ্ছে রাজারহাট উপজেলায় অবস্থিত মেকুরটারী শাহী মসজিদ, ব্যাপারীপাড়া শাহী মসজিদ, চান্দামারী মণ্ডলপাড়া জামে মসজিদ ও পাইকপাড়া জামে মসজিদ।উলিপুর উপজেলার সাত দরগাহ’র কাদের বক্স মণ্ডলের মসজিদ ও সদর উপজেলার সরদার পাড়া জামে মসজিদ। তবে মসজিদগুলোর আকার ভিন্ন হলেও সবগুলোই ৩ গম্বুজবিশিষ্ট।
এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আওতায় রংপুর জাদুঘরের ভারপ্রাপ্ত কাস্টোডিয়ান এসএম হাসনাত বিন ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় পুরনো অনেক পুরাকীর্তি রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটিকে সংরক্ষিত পূরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রত্নতত্ত্ব দফতর। তবে বর্তমানে নাওডাঙ্গার শিবমন্দির সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া প্রত্নতত্ত্ব জরিপের মাধ্যমে গুরুত্ব বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য পুরাকীর্তিগুলো সংরক্ষণের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।