মারুফ সরকার ,বিশেষ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খানের হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে তার স্ত্রী হাসিনা খানম হাসি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নতুন ভাঙ্গাবাড়ির নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে হাসি খাতুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আপনি নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়স্থল। আপনি সাধারণ মানুষের ভরসা। আপনি নারীর সাহস। আপনার দেখানো সাহসে বলীয়ান হয়ে আমি একজন সাধারণ গৃহিনী হয়ে স্বামী হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী, আপনি আমাদের মা। তাই আমি আমার মায়ের কাছে আমার স্বামী হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। আমার বিশ্বাস মা তার দুঃখী সন্তানকে কখনোই খালি হাতে ফেরান না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে হাসিনা খানম বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি সঠিক বিচার পাওয়ার আশায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রসাশন আমাদের আশ্বাস দেয়, ২৪ ঘণ্টার ভেতরে খুনী বুদ্দিনসহ সব আসামিকে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত খুনী বুদ্দিন তো দূরের কথা, কোনো আসামিকেই গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
তিনি বলেন, আসামিদের ভেতরে অনেকেই প্রকাশ্যে ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো সক্রিয় আছেন। তারা এও প্রচার করে বেড়াচ্ছেন যে, সরকার পুলিশ প্রসাশন তাদের কিছুই করার ক্ষমতা রাখে না।
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিই তো বলেছেন, সন্ত্রাসী কোনো দলের নয়। তাহলে এই নরপিশাচেরা এই নির্লজ্জ সাহস কোথায় পায়? তাদের এই দুঃসাহস আপনার প্রণিত সুশাসন ও আপনার বিরুদ্ধে এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণার মতো। এ আপনার প্রতি তাদের চরম অবমাননা।’
‘কয়েকটি পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রচার করে, আমার স্বামী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।
আসলে এই তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই। আমার স্বামী গ্রাম পঞ্চায়েত মনোনীত একজন প্রার্থী। খুনীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার স্বামীকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তথা বিএনপিকর্মী হিসেবে চিহ্নিত করতে হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, যাতে দলীয় ফায়দা লুটে কৃতকর্ম ঢাকা যায়।’
এ সময় নিহত তরিকুলের ছেলে একরামুল হাসান হৃদয় ও মেয়ে তাহিদা জাহান তিজা ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্যব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।