মংহাইথুই মারমা-বান্দরবান প্রতিনিধিঃ রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বিস্তৃত জনপদের কৃষিকাজের পানি সরবরাহের একমাত্র উৎস মৌলভিরকাটা রাবারডেম।
আকস্মিকভাবে বিগত বর্ষা মৌসুমে রাবারডেম ছিদ্র হয়ে ভেঙে যায় পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা। এমতাবস্থায় এইজনপদে একমাত্র আয়ের উৎস কৃষি, ৪ হাজার কৃষকের অনাবাদী জমির হাহাকার চলছে এলাকাজুড়ে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কম্বনিয়া ও ৮নং ওয়ার্ড আষাঢ়তলী জনবহুল এলাকার কৃষিকাজে সুফলভোগী পাঁচ শতাধিক কৃষকের মাথায় হাত।
নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার সকল কৃষক কক্সবাজার জেলা ও বান্দরবান জেলার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সর্বস্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তড়িৎ গতিতে কৃষকের জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকী ও রাবারডেম সংস্কারের ব্যবস্থা করার জন্য পার্বত্য মন্ত্রীর সদিচ্ছার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন। কেননা বান্দরবান, কক্সবাজার দুই জেলা পাশাপাশি জেলা। পাহাড়ী ঝিড়ি গুলো থেকেই নদীর আকৃতি। রামু উপজেলার নদী গুলো নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত। আবার কোন কোন জায়গায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নদী গুলো রামু উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত। এলাকার কৃষক সমাজ এমনটাই আশা প্রকাশ করছে যে, কক্সবাজার জেলায় বড় কোন মন্ত্রীত্ব না পাওয়ায়, এ উন্নয়ন হয়তো বাধাগ্রস্থ হবে। এতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫শতাধিক কৃষক পরিবার। এবার হয়তো আর অবহেলিত হওয়ার কারণ নাই, এমনটাই মনে করছেন বীর বাহাদুর পার্বত্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর।