সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের ব্যবসায়ীর রিয়াজ উদ্দিনের বিশাল বহুল বাড়িতে দিনরাত চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। তার অপকর্ম দেখে ফেলায় এক যুবককে প্রাণে মারাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি রিয়াজ উদ্দিনের। জীবনের নিরাপত্তা বিপন্ন হওয়ার এমন আশংঙ্কায় রিয়াজ উদ্দিন গংরা ঐ যুবককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে পারে এমন অভিযোগ এনে ঐ যুবক গত ৪ এপ্রিল পুলিশ সুপার ও তাহিরপুর থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো: আহাদ আলীর ছেলে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় অভিযোগকারী এই যুবক একজন মোটর সাইকেল চালক এবং একই গ্রামের বাসিন্দা এবং অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন একই গ্রামের বাসিন্দা এবং দূর গ্রাম সর্ম্পকে মামা ভাগিনা। রিয়াজ উদ্দিনের সুৃনামগঞ্জের ব্রাক্ষণগাওঁ এলাকায় আজিজ ব্রিকফিল্ডসহ তাহিরপুরে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকার সুবাদে তিনি তাহার পুৃটিয়া গ্রামের বিলাস বহুল বাড়িতে রাতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালান এমন অভিযোগ ও রয়েছে। তাহার এমন অসামজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান এলাকার সাধারণ মানুষ। আর যদি কেউ প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে তাহলে তাকে গুম করে হত্যা করাসহ মিথ্যাা মামলায় দিয়ে ফাসানোঁর হুমকি প্রদান করে তাহার ভাড়াটিয়া অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা।
এছাড়াও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয় ঐ ব্যবসায়ী তার আপন চাচাতো ছোটভাইয়ের সুন্দরী বউয়ের সাথে দীর্ঘ একবছর ধরে অবৈধ সম্পক স্থাপন করে চলেছেন। তিনি তার চাচাতো ভাইকে সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের আজিজ ব্রিক ফিল্ডে শ্রমিকের চাকুরীতে নিয়োজিত করে ঐ শ্রমিকের সুন্দরী বউকে তার পুটিয়ার বিলাস বহুল বাড়িতে এনে প্রায়ই অবৈধ মেলামেশা করছেন বলে জানা যায়। গ্রামের প্রতিটি মানুষের মুখে কানাঘুষা যে রিয়াজ উদ্দিন তার চাচাতো ভাইকে ব্রিকফিল্ডে কাজে নিয়োজিত রেখে তিনি ছোটভাইয়ের বউকে নিয়ে প্রায়ই তার বিলাস বহুল বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন।
অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখঝ করা হয় এমন ঘটনাটি গত ৩১ মার্চ ২০২১ ইং তারিখে রিয়াজের পরকিয়া প্রেমিকা প্রেমের টানে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রিয়াজের বাড়িতে প্রবেশ করলে তিনি দরজা বন্ধ করে অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হওয়ার ঘটনাটি অভিযোগকারী যুবক এমদাদুল হক বিষয়টি দেখে ফেলেন। ঐ যুবক পাশের বাড়ির বাসিন্দা হিসেবে ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিনকে গ্রাম সর্ম্পকে মামা বলে ডাকেন। ঘটনার সময় রাতে অভিযোগকারী এমদাদুল হক রিয়াজকে মামা মামা বলে ডেকে তার বসত ঘরের দরজায় ঘন্টা খানিক দাড়িয়ে থেকে ডাকাডাকির পর তিনি জানালার ফাকঁ দিয়ে দেখতে পান রিয়াজ এবং ঐ নারী তার বেডরুমের বিছানায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছেন। কিছুক্ষণ পর রিয়াজ ঐ মহিলাকে তার বেড রুমের বিছানায় রেখে দরজা খুলে দেন। এসময় এমদাদুল হক তার মোবাইলে রিয়াজ উদ্দিনের সাথে কথা কাটাকাটির বিষয়টি রেকর্ড করতে থাকেন। লম্পট রিয়াজ উদ্দিন ও তার প্রেমিকা মিলে অভিযোগকারী এমদাদুল হককে এই ঘটনা লোকমুখে প্রকাশ না করতে মোটা অংকের টাকার অপার দেন। কিন্তু ঐ যুবক রিয়াজ ও নারী কথোপকতন তার মোবাইল ফোনে অডিও রেকর্ড করেন। এ সময় রিয়াজ এমদাদুল হককে বলেন ভাগিনা ঐ নারীর সাথে এক বছর ধরে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে । তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় ঐ যুবকটিকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে রিয়াজ উদ্দিন বলেন যদি কাউকে বলবি তোকে আমরা জানে মেরে ফেলব এবং মামলা দিয়ে তোর এমন অবস্থা করব গ্রাম ছেড়ে ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবে । এসময় রিয়াজ ও ঐ নারী মিলে ঐ যুবককে মারধর শুরু করে সে চিৎকার শুরু করলে ঐ নারীা ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় যা মোবাইলে রেকর্ড করা আছে । রাতের পুরো অসামাজিক কার্যকলাপের ঘটনাটি এলাকার কয়েকজন লোককে অবহিত করেন তিনি। ঘটনার পর দিন থেকে ছেলেটিকে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলাসহ প্রাণে মারার হুমকি অব্যাহত রাখেন লম্পট রিয়াজ উদ্দিন তার ভাই আক্কাস। ছেলেটি লোক মুখে শুনতে পায় রিয়াজ উদ্দিন ও তার পরকিয়া প্রেমিকা মিলে ছেলেটির উপর মিথ্যা মামলা হামলা করতে পারে। এদের অব্যাহত হুমকিরে ভয়ে বর্তমানে ঐ যুবকটি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তিনি মিথ্যা মামলা ও রিয়াজ গংদের হামলা মামলার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে গত ৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার ও তাহিরপুর থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মো. এমদাদুল হক জানান,রিয়াজ উদ্দিন ও ঐ নারীর অসামাজিক কার্যকলাপ আমি নিজ চোখে দেখে পুরো ঘটনাটি অডিও রেকর্ড করে ফেলায় রিয়াজ ও ঐ নারী আমাকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার কথা বলে। আমি তা না মানায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ফলে আমি নিরুপায় হয়ে গত ৪ এপ্রিল পুলিশ সুপার ও তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি মিথ্যা বানোয়াট দাবী করে বলেন,গুটি কয়েকজন মানুষ আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমন কাল্পনিক নাটক তৈরী করছেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।