শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ।

চেনা ও অতি পরিচিত শহর আজ অনেক অপরিচিত। উপজেলায় সর্বত্র নীরবতা বিরাজ করছে।
নতুন করে সরকার-ঘোষিত আটদিনের বিধি-নিষেধের দ্বিতীয় দিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মারুফের তদারকিতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সর্বত্র কঠোর লকডাউন পালিত হতে দেখা গেছে।

এই বিধি-নিষেধ সর্বাত্মকভাবে পালনে বাধ্য করতে উপজেলার প্রধান সড়ক ও মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ।

আজ বৃহস্পতিবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত রাস্তায় মানুষ নেই বললেই চলে।

প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলেই পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।

রাস্তায় পুলিশের টহল গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, রিকশা, মোটর সাইকেল সহ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহৃত সীমিত সংখ্যক যানবাহন ছাড়া তেমন বড় কোন যানবাহন চোখে পড়েনি।

লক্ষ করা গেছে প্রতিটি যানবাহনকে থামিয়ে থামিয়ে কী প্রয়োজনে কোথায় যাচ্ছেন কি নিয়ে তা জানতে চাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। অপ্রয়োজনে কেউ বাইরে থাকলে তাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে- উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের প্রবেশের প্রধান সড়ক গুলোতে দেখা গিয়েছে শুধু মাত্র কয়েকটি পুলিশের টহল ভ্যান, দুই একটি রিক্সা ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে।

উপজেলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যারিকেড দিয়ে টহল বসিয়ে যানবাহন ও যাত্রীদের জেরা করতেও দেখা গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ম্যাজিস্ট্রেটকেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে।

তাছাড়া রমজান মাসের প্রথমের দিক হওয়ার কারণে এমনিতেই মানুষ ঘরের বাইরে বের হন হচ্ছেন একটু কম।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, তারা সকাল থেকেই রাস্তায় টহলে নেমেছেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কড়া নির্দেশ করোনার সংক্রমণ রোধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেয়া যাবে না।

শুধু তাই নয়, পুলিশের বিশেষ পাস ছাড়া চলাচলে বাধা দিতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন