প্রতিবেদক,
মানসিক সমস্যাগ্রস্থ স্ত্রী রিমাকে দারিদ্রতার কারনে যখন চিকিৎসার বদলে তার পরিবার ৪ বছর যাবৎ শিকলে বেধে রেখেছিল তখনই তাকে শিকল থেকে মুক্তি দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে এগিয়ে এলেন চাটখিলের প্রিয়মুখ ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সুমনা গ্রুপ অফ কোম্পানীজ ও নোয়খালী প্রতিদিন টিভির চেয়ারম্যান ডাঃ রুবাইয়াত ইসলাম মন্টি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ডাঃ রুবাইয়াত ইসলাম মন্টির নির্দেশে গত ১১ ই জানুয়ারী ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয় গৃহবধূ রিমাকে । ১ মাস ২ দিন চিকিৎসার পর আজ ১৩ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার পূর্ন সুস্থ হয়ে গৃহবধূ রিমা ফিরে যায় স্বামীর সংসারে । গৃহবধূ রিমার চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার বহন করেন ডাঃ রুবাইয়াত ইসলাম মন্টি। শুধু তাই নয় চিকিৎসাকালীন সমযে তিনি একাধিক বার রিমাকে দেখতে যান।
৪ বছর আগে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বানসা গ্রামের মিরন মিয়ার মেয়ে রিমা আক্তারকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন উপজেলার গোমাতলী গ্রামের সিদ্দিক উল্লাহ। বিয়ের কিছুদিন পর রিমার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। এতে সে পাগলামি শুরু করলে বাড়ির লোকজন ভূত বা জ্বীনে ধরেছে বলে অভিমত প্রকাশ করে। গৃহবধূ রিমার দু বছরের একটি সন্তান ও রয়েছে। স্বামী সিদ্দিক উল্লাহ গ্রামে একটি ছোট চায়ের দোকানের মাধ্যমে নিজের সংসার পরিচালনা করে থাকেন। এই দোকানের আয়ে পরিবারের সদস্যদের দু মুঠো অন্নের ব্যবস্থা করতে যেখানে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে, সেখানে রিমার চিকিৎসার কথা কি করে চিন্তা করবে। সিদ্দিক উল্লাহ জানায়, বাধ্য হয়ে সে তার স্ত্রীকে ৪ বছর ধরে বেঁধে রেখেছে। স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা বিষয়টি জানলেও কেউ রিমার চিকিৎসার সহযোগীতায় এগিয়ে আসেননি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হলে চাটখিল প্রেমিক ,মানবতার অতন্ত্র প্রহরি ,বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র মরহুম ডাঃ সিরাজুল ইসলামের সুযোগ্য পুত্র ডাঃ রুবাইয়াত ইসলাম মন্টি গৃহবধূ রিমার চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে এলেন। তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে তার কর্মকর্তাদের রিমার পূর্ন চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন। তার নির্দেশে ১১ জানুয়ারী রিমাকে চাটখিল থেকে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ ডাঃ রুবাইয়াত ইসলাম মন্টি পিতার পদাঙ্ক অনুসরন করে মানবসেবায় নিজকে নিয়োজিত রেখেছেন ছেলে বেলা থেকে। চাটখিলে গৃহবধূ রিমা নয় এ রকম অসংখ্য অসহায় গরীব ও দুস্থ রোগীকে বিনামূল্যে অতীতে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন তিনি। গৃহবধূ রিমাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদানের ডাঃ মন্টির নির্দেশে চাটখিল সহ নোয়াখালীর সর্বত্রই প্রশংসিত হয়েছিল। আজ হাসপাতাল ত্যাগের সময় গৃহবধূ রিমার পরিবার ডাঃ মন্টির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন। ডাঃ মন্টির মানবতার এমন বিরল দৃষ্টান্ত দেশবাসী মনে রাখবে অনেকদিন । জয়তু মানবতা- জয়তু মন্টি।