স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মাদকের শীর্ষ ডিলার ই¯্রাফিলের পোষ্টারিং নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন শোণা যাচ্ছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,নারায়ণগঞ্জেরর বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দী গ্রামের মৃত সোলেমান সরদারের ছেলে ই¯্রাফিল দীর্ঘ দিন ধরে মাদক পাইকারী সাপ্লাই দিয়ে আসছিল। এর আগে সে একাধিকবার বন্দর থানা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা(ডিবি)পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। এছাড়াও তাকে অসংখ্যবার আটক করেও মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ডিবি পুলিশ ছেড়ে দেয় বলে এলাকায় চাউর রয়েছে। সম্প্রতি প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশব্যাপী মাদক ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ার প্রথা চালু করায় গা ঢাকা দেয় মাদক স¤্রাট ই¯্রাফিল। অদ্যাবধি সে এলাকায় ফিরে আসেনি। এরই মধ্যে গত রোববার রাতে মাদক স¤্রাট ই¯্রাফিল নিজেকে বাংলাদেশ প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পরিচয়যুক্ত একটি পোষ্টার গোটা কল্যান্দীসহ বন্দর থানা ও তার আশ পাশে লাগিয়ে দেয়। পোষ্টারটিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি বা পাশে এবং ডান পাশে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি এবং তার নিচে প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেয়া হয়েছে। একদিকে একজন শীর্ষ মাদক স¤্রাট হয়েও রাতারাতি আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হওয়া অন্যদিকে প্রধাণমন্ত্রীর ছবির উপর সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি যুক্ত করে পোষ্টারিংয়ের বিষয়টি সর্বত্রই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের জনৈক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,ই¯্রাফিল একজন চিহ্নিত মাদকের ডিলার এটা গোটা গ্রামবাসীই সারা জেলাবাসীই জানে। প্রায় বছরখানেক আগেও সে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ফতুল্লা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ দিন জেল খেটে বের হয়। এছাড়াও ডিবি পুলিশের হাতে একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে মুক্তি পায়। তার বিরুদ্ধে বন্দর,ফতুল্লা ও সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। ই¯্রাফিলের মতো দুর্ধর্ষ আওয়ামীলীগের একটি সহযোগী দলেরসংগঠনের কেন্দ্রীয় পদ নিয়ে থাকে তাহলে এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। বিষয়টি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারকদের তদন্তপূর্বক আশু কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া অত্যাবশ্যক বলে সচেতন মহল মনে করছে।