স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভূরুঙ্গামারীতে জাল ও ভুয়া নিবন্ধন সনদ দিয়ে ৯ বছর ধরে শিক্ষকতার চাকুরী। অবশেষে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
জানাগেছে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ শাহিদা খাতুনকে গত ১আগস্ট ২০১১ খ্রিঃ তারিখে সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) পদে নিয়োগ দেয়া হয়। উল্লেখ্য, নিয়োগকৃত শিক্ষকের স্নাতক, বিএড ও শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল ও ভুয়ার বিষয়টি গোপন করে এবং জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ২০১২ সালে এমপিও ভূক্ত করান। এ ব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি আকতার হোসেন গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রিঃ তারিখে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর নিবন্ধন যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএ বরাবর আবেদন করেন। গত ২০ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ তারিখে এনটিআরসিএ এর সহকারী পরিচালক স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয় মোছাঃ শাহিদা খাতুন পিতা- মোঃ এন্তাজ আলী মন্ডল,রোল-৩০৭১১৫৪৭, রেজিস্ট্রেশন ও সন ৯০০৩৩৮৭৯/২০০৯, পরীক্ষা নং- ৫ম, রেজিঃ পরীক্ষা-২০০৯ সহকারি শিক্ষক, সমাজ বিজ্ঞান এর নিবন্ধন সনদটি সঠিক নয়। উত্তীর্ণ রোল নম্বরটি অন্য ব্যক্তির (মোছাঃ সুলতানা খাতুন, পিতা- রবিউল ইসলাম এর)। শুধু তাই নয়,পত্রে উক্ত জাল ও ভুয়া সনদধারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে মামলা দায়ের পূর্বক অত্র অফিসকে জানাতে বলা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে, স্নাতক ও বিএড সার্টিফিকেটও জাল দাবী করা হয়েছে। যা দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আকতার হোসেন এখনো পত্র পাননি বলে জানান। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক, প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী হওয়ায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেননা বলে তার আশংকা। এব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির এধরনের কোন চিঠি পাননি বলে জানান। প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *