শেখ সাইফুল ইসলাম কবির:বাগেরহাটের মোংলায় এক স্কুল ছাত্রীকে ভারতে পাচারে ব্যার্থ হয়ে তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে গাড়ীতে ফেলে পালিয়ে যায় সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা। জান্নাতের প্রতিবেশি ময়না ও জাহানারা তাকে পাচার করতে চেয়ে ব্যার্থ হয় বলে অভিযোগ করে জান্নাত ও তার বাবা। জান্নাত মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বৌদ্যমারী গ্রামের দিন মজুর জালাল ব্যাপারীর মেয়ে এবং স্থানীয় ছবেদ খাাঁন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী।

পাচারকারীদের হাত থেকে ঘটনার তিনদিন পর ওই স্কুল ছাত্রীকে এক ফুফাতো ভাই নাইম’র সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে মোংলায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় প্রতিবেশি লাল মিয়া ব্যাপারীর মেয়ে ময়না বেগম ও আজিত মৃধার মেয়ে জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে গত ২৫ জানুয়ারী থানায় অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারণে এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ। অভিযোগ নেওয়ার ব্যাপারেও পুলিশ গড়িমশি করেন বলেও দাবি করেন ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা জালাল ব্যাপারী।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযোগটি মামলা হওয়ার মত ঘটনা না বিধায় আমলে নেওয়া হয়নি। তবে ভিকটিম ও বাদী পক্ষের অভিযোগ, মামলা নেওয়া হবে বলে পুলিশ তাকে বার বার আশ্বস্ত করছে।

থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগ সুত্র ও স্কুল ছাত্রী জান্নাতের বাবা জালাল ব্যাপরী বলেন, ঘটনার দিন গত ১৩ জানুয়ারী বিকেলে ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন পাশ্ববর্তী একটি পুকুরে পানি আনতে গিয়ে তার মেয়ে আর বাসায় আসেনি। পরে আত্বীয়ের বাড়ীসহ অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে না পাওয়া গেলে পরদিন ১৪ জানুয়ারী মোংলা থানায় সাধারণ ডাইরী করেন জালাল ব্যাপারী। এরপরে তিনি লোকমাধ্যমে জানতে পারেন প্রতিবেশি ময়না ও জাহানারা তার মেয়েকে অপহরন করে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যায়।

১৫ জানুয়ারী ভোরে অপহৃত স্কুল ছাত্রী জান্নাত খানম পাচারের খবর জানতে পেরে কৌশলে তার ফুফাতো ভাই নাঈমকে মোবাইলে ফোন করলে ঢাকার নবীনগরের দিগন্ত বাস কাউন্টার থেকে তাকে উদ্ধার করে। এসময় পাচারকারী ময়না ও জাহানারাসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে জান্নাতের চাচা ও ফুফাতো ভাইরা তাকে ঢাকা থেকে মোংলায় নিয়ে আসে।

পরে স্কুল ছাত্রী জান্নাতের কাছে ঘটনাটির বিস্তারিত শুনে ময়না ও জাহানারাকে অভিযুক্ত করে গত ১৬ জানুয়ারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্কুল ছাত্রী জান্নাতের বাবা জালাল ব্যাপারী।

তবে ঘটনার এতদিন পার হলেও রহস্যজনক কারনে এখন পর্যন্ত অভিযোগটি আমলে নেয়নি পুলিশ। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মোংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *