বিশেষ প্রতিনিধিঃ
স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ আর লাল-সবুজের পতাকা কোন একটি দল বা এক ব্যাক্তির অবদান নয় বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ‘র আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্বাধীন বাংলঅধেম প্রতিষ্ঠার ইতহাসের বাঁকে বাঁকে রয়েছে অনেক নায়ক-মহানায়ক। যদিও আজ আমরা তাদের ভুলতে বসেছি। আর শাসকগোষ্টির ইতিহাস বিকৃতি ও ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টাতো রয়েছেই। বর্তমানে রামপন্থি, বিবেকবর্জিত বুদ্ধিজীবী নামক চাটুকার আর সুবিধাবাদিরা বভিন্নি দলে বভিক্ত হয়ে বাংলাদশের স্বাধীনতা ইতিহাসকে অব্যাহতভাবে বিকৃত করে যাচ্ছে। অন্যদিকে অন্ধ দলিয় আনুগত্যের কারনেও ইতহাস বিকৃতি করছে কেউ কেউ।
আজ শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘২মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন ও ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবস স্মরণে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় মহানগর ন্যাপ আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজুর’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব ও ২০ দলীয় জোটরে অন্যতম নতো এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, আলোচনায় অংশ গ্রহন করনে ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক আহসান হাববি খাজা, মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রন্সিপিাল নজরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল কাউছারী, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্রের সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল, যব ন্যাপ যুগ্ম, সমন্বয়কারী জিল্লুর রহমান পলাশ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, অতিত অস্বীকার করে সঠিক ইতিহাস নির্মান করা সম্বভ নয়। স্বাধীন-র্সাবভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যারা যা অবদান রেখেছেন তার স্বীকৃতি দেয়া উচিত রাষ্ট্রীয়ভাবে। শুধু ৭ মার্চ বা ২৬ মার্চই স্বাধীন বাংলাদশের ইতিহাস নয়। আরো অনেক ইতিহাস রয়েছে। স্বাধীন-র্সাবভৌম বাংলাদেশ নির্মানে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামদি খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবিুর রহমান, মরহুম জিয়াউর রহমান, মরহুম এম.এ.জি ওসমানী, আ.স.ম. আব্দুর রব, শাহজাহান সিরাজসহ যার যতটুকু অবদান তাঁর স্বীকৃতি দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস যদি সঠিক ও র্নিমোহ নির্মান করতে ব্যর্থ হই তাহলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করছে না, তাদের আদালত থেকে আমরা মুক্তি পাবো না। তাই জাতি হিসাবে আমাদের উচিত সকল কৃতৃত্ব নিজেদের ভান্ডে জমা করার প্রবণতা বাদ দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা। ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা বজায় রেখে ফয়দা লুটার যে চষ্টো করছে তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ১৯৭১ সালে ২ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের ভূখন্ডে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা। আর ৩ মার্চ পল্টনে পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ইশতেহার। এই দুই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করার জন্য আ স ম আব্দুর রব ও শাহজাহান সিরাজকে রাষ্ট্রের উচিত স্বীকৃতি দেয়া।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজান সাজু বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২ র্মাচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই বইতে শুরু করেছিল মুক্তির সুবাতাস। ১৯৭১সালে এই পতাকাটি আমাদের ভূখন্ড ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী আমাদের পরিচিতি তুলে ধরেছে। তিনি বলেছেন, সেদিন দেশের ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রসমাজ যে ভূমিকা রেখেছিল আজ তা অনুপস্থিত।