ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
আজ ভূরুঙ্গামারী হানাদার মুক্ত দিবস। দেশের প্রথম হানাদার মুক্ত উপজেলা। ১৩ নভেম্বর ১৯৭১, দিবাগত রাতে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী ৪টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দক্ষিণ দিকে খোলা রেখে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিন দিক থেকে আক্রমণ চালায়। সারারাত তুমুল যুদ্ধ শেষে পাকবাহিনীরা রায়গঞ্জের দিকে পিছু হটলে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী মিলে ভূরুঙ্গামারী দখলে নেয় এবং বর্তমান উপজেলা পরিষদের সামনে (তৎকালিন সিও অফিস) জাতীয় পতাকা উত্তেলন করা হয়। এইযুদ্ধে পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেন আতাউল্যা খান বোমার আঘাতে মারা যান এবং বাংকারে তার পাশে একজন নির্যাতিতা (বীরাঙ্গানা)মহিলার লাশ পাওয়া যায়। যুদ্ধে ৩০/৪০ জন জীবিত পাক সেনা, তৎকালিন সিও অফিসের বাস ভবন থেকে চারজন (বীরাঙ্গনা)নির্যাতিতা মেয়েকে উদ্ধার করা হয় । যাদের একজন ৬/৭ মাসের গর্ভবতী ছিলো এবং একজন ময়মমনসিংয়ের কলেজ পড়–য়া ছাত্রী ছিলেন। একই ভাবে ভূরুঙ্গামারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একই অবস্থায় ১৬ জন মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মেয়ে ও জীবিত পাক সেনাদের মিত্র বাহিনী ভারতে নিয়ে যায়। এ যুদ্ধে পাক ও মিত্র বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সৈন্য মারা যায়। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা এবং সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর নওয়াজিসের পরিকল্পনায় সমস্ত আক্রমন পরিচালিত হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ভূরুঙ্গামারী প্রেস ক্লাব দিবসটি পালন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসুচি গ্রহণ করেছে।