হারুন উর রশিদ সোহেল রংপুর.
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, বাড়ি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে মালামাল লুট, তিন সাঁওতালকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে রংপুর জেলা প্রশাসন বিভাগীয় সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান না করায় এবং ১০ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।শনিবার সকালে রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৫ জানুয়ারি রংপুরে এবং ১৭ জানুয়ারি রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছর ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের সাঁওতালদের উপর যে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল দুই মাস অতিবাহিত হবার পরেও সে ঘটনার মূলহোতা স্থানীয় সাংসদ আবুল কারাম আজাদ ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ সন্ত্রাসীদের কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। উল্টো সাঁওতাল ও গরিব বাঙালি কৃষকদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। পুলিশ চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে সাঁওতালদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে। নিরীহ সাঁওতালরা যাতে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে না পারে, সে জন্য সন্ত্রাসীরা রাস্তাঘাটে পাহারা বসিয়েছে। দুই মাস ধরে সাঁওতালরা এখনো খোলা আকাশের নিচে মানববেতরভাবে দিন কাটাচ্ছে। স্কুল পুড়িয়ে দেয়ায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, সর্বশেষ গত ২৩ ডিসেম্বর সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেখা করে তার কাছে ১০ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হলে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। সেই সাথে ২৮ ডিসেম্বরের পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাবার কথা বললেও ১৫ দিন অতিবাহিত হতে চলেছে, এখনো তিনি আসেননি।এদিকে আদিবাসী পরিষদ ১০ দফা দাবিতে শনিবার রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বিভাগীয় সমাবেশ করার ঘোষণা গত ১১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করার পরেও আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান না করে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন।উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহসভাপতি ফিলিমন বাস্কে, সিপিবি নেতা শাহাদত হোসেন, ওয়ার্কাসপাটি নেতা নজরুল ইসলাম হক্কানীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও সাঁওতাল পল্লীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।