এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
বিগত ৩ মাসেও মিলেনি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করোনা টিকাদান বুথে কর্মরত ৮ জন ভলান্টিয়ারের সম্মানী ভাতা। এর মাঝে তাদের শিফট বদলী হওয়ায় তাদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানে ভাইভা নিয়ে ৩২ জন ভলান্টিয়ারের তালিকা করা হয়েছে। এদের প্রশিক্ষণ প্রদান শেষে ৮ জন করে ১৪ দিন করে তাদের শিফট বদলের কথা থাকলেও এই ৮জন ভলান্টিয়ার দিয়ে টানা ৩ মাস কাজ করা হয়েছে।
আর ভলান্টিয়ারদের জন প্রতি সম্মানী ভাতা হিসেবে দৈনিক ৮০ টাকা হতে ২০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়ার কথা রয়েছে।
কয়েকজন ভলান্টিয়ারের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড-১৯ টিকাদান বুথে ভলান্টিয়ার হিসেবে নিষ্ঠার সাথে প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের যে সম্মানীভাতা দেওয়ার কথা রয়েছিল তা বিগত ৩ মাসেও পাওয়া হয় নাই। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রের দায়িত্বরত সমন্বয়ক মেডিকেল অফিসার ডাঃনারায়ন চন্দ্র রায় জয় বলেন, ভলান্টিয়ারদের বাদ কিংবা ছাঁটাই করা হয় নি। তাদের স্থলে অন্য ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আবারও দায়িত্ব দেয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, ভলান্টিয়ারদের পর্যায়ক্রমে শিফটের মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ প্রদান করা হবে। তাদের যে সম্মানী ভাতা দেয়ার কথা রয়েছে তার বরাদ্দ এখনো আসে নি। বরাদ্দ আসা মাত্রই তাদের সম্মানী ভাতা প্রদান করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ভলান্টিয়াররা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব গুরুত্বের সাথে পালন করেছে।ভলান্টিয়ারদের বরাদ্দের টাকা আসলেই আমরা তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিব।
তবে এ বিষয়ে দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ আঃ কুদ্দুস মুঠোফোনে বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মানী ভাতা প্রদান করার জন্য ইতিমধ্যে সকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। তারা বিল প্রস্তুত করে ভলান্টিয়ারদের সন্মানী ভাতা পরিশোধ করতে পারবেন।