লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
সরকারের ৪০দিনের কর্মসূচীর শ্রমিক দিয়ে পুকুর খনন ও সুপারির বাগানে মাটি ফেলার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম আপেলের বিরুদ্ধে । তিনি প্রকল্পের সাইনবোর্ড না টানিয়েই কাজ করছেন।
জানা গেছে, অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ৪০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। প্রতিদিন ৪০০ টাকা হিসেবে প্রত্যেক শ্রমিকের নামে করা ব্যাংক হিসাবে মজুরির টাকা পরিশোধ করা হয়। প্রকল্পস্থলে সাইনবোর্ড স্থাপনপূর্বক ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রারাসা মাঠ সংস্কারে মাটি কাটার নিয়ম রয়েছে। এসব শ্রমিকদের দেখভাল করেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গত কয়েকদিন থেকে সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম আপেল ৪০ দিনের কর্মসূচীর শ্রমিক দিয়ে নিজের পুকুর খনন ও সুপারির বাগানে মাটি ফেলে নিচ্ছেন।
মাটি কাটার সময় ইউপি সদস্য আপেল চেয়ারে বসে থেকে ১৯ জন শ্রমিক দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেন। তবে সেখানে ৪০ দিনের কর্মসূচীর শ্রমিক কাগজ-কলমে ২৬ জন রয়েছে। কয়েকদিন থেকে ৮ জন শ্রমিক উপস্থিত। সেখানে প্রকল্পের কোন সাইনবোর্ডও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম আপেল বলেন, আমি বাড়িতে মাটি কাটি নাই। আমার বাড়ির সম্মুখের ভাঙ্গা রাস্তায় নিজের পুকুর থেকে মাটি নিয়ে ফেলেছি। প্রকল্পস্থলে সাইনবোর্ড নেই কেন, এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি ওই ইউপি সদস্য।
পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বসুনিয়া বলেন, প্রকল্পস্থলে সাইনবোর্ড অবশ্যই থাকতে হবে। কোন অবস্থাতেই ৪০ দিনের কর্মসূচীর দিনমজুর দিয়ে ইউপি সদস্যের পুকুর খনন ও বাড়িতে মাটি কেটে নিতে পারবে না। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি বলেও তিনি জানান।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মশিউর রহমান বলেন, ৪০ দিনের কর্মসূচীর দিনমজুর দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানো অপরাধ। এমনটি হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, ৪০ দিন কর্মসূচী আ’লীগ সরকারের কর্মসূচী। সরকার জনপ্রতিনিধি’র মাধ্যমে জনগণকে তাদের প্রাপ্ত সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এসব প্রকল্প গ্রহন করেছেন। তা বাস্তবায়নে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করলে কেউ ছাড় পাবে না।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা ফেরদৌস বলেন, আমি এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। এখন জানলাম, খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।