স্টাফ রিপোর্টারঃ
কচাকাটার সতিপুরীতে পাওনা টাকা ও পৈত্রিক সম্পত্তি করতে এক প্রবাসী যুবককে মারপীট করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করে হয়রাণী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবশেষে প্রতিকার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন ঐ প্রবাসী যুবক।
জানাগেছে,কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউনিয়েনের সতিপুরী গ্রামের মৃত মজিবর রহমান আনছারীর পুত্র মোঃ সাইদুল ইসলাম প্রায় ১৭ বছর পুর্বে শ্রমিকের ভিসায় কুয়েতে চলে যায়।বিদেশে থাকাকালীন তার বড় ভাই বাবলু মিয়ার নামে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা পাঠায় এবং তার আরেক ছোটভাই শাহীন আলম ২০১৬ সালে এলাকায় এক গৃহবধুকে ধর্ষণের দায়ে আদালতের মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পর উক্ত সাইদুলের নিকট ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে সে কুয়েতে চলে যায়। এদিকে সাইদুল কুয়েতে থাকার সময় তার পিতা মারা গেলে ২০১৭ সালে সে বাড়িতে এসে কচাকাটা থানার বাহের কেদার নামক গ্রামে নিজটাকায় জমি কিনে বসাবাস শুরু করে। কিছুদিন পর তার বড় ভাই বাবলু মিয়ার দখলে থাকা পৈত্রিক সম্পত্তি এবং টাকা ফেরত চাওয়ায় বাবলু ও শাহীন আলমের সঙ্গে বিরোধ বাধে। গত ২৬ মে সাইদুল তার সম্পত্তির ভাগ ও পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বাবলু মিয়ার বাড়িতে গেলে উক্ত বাবলু মিয়া,শাহীন আলমের স্ত্রী হামিদা বেগম,শাহীন আলমের পুত্র মামুন মিয়া সাইদুলকে মারপীট করে। পরে এলাকাবাসী সাইদুলকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে হামিদা বেগম আদালতে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলে কচাকাটা থানার ওসি(তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ঘটনা তদন্ত কের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এলাকাবাসীর মজিবর রহমান,আলিমুদ্দিন শেখ,জাকির হোসেনসহ অনেকে জানান,হামিদা বেগমের চাঁদাবাজির মামলাটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। ঘটনারদিন সাইদুলকেই মারপীট করে আহত করলে আমরা গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই।মুলত সাইদুলের পাওনা টাকা ও পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী ওসি(তদন্ত) জানান,আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মারপীটের ঘটনার সত্যতা পেলেও চাঁদাবাজির কোন ঘটনার সত্যতা পাইনি । ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শওকত আলী জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন