ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি জোরপুর্বক দখল করে ঘর তুলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ঐ জমিত থাকা ৫ লক্ষ টাকা মুল্যের বাঁশঝাড়ের বাঁশ ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে গেছে । এছাড়া বর্তমানেও অবশিষ্ট জমি দখলের পায়তারা করছে ঐ ভুমিদস্যুরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী গ্রামে। প্রতিকার চেয়ে আবারও আদালতে মামলা দায়ের করেছে ঐ মুক্তিযাদ্ধা আব্দুল ওহাবের ভাই আব্দুল লতিফ। জানাগেছে ১৯৩৭ সালে তৎকালীন কাশিমবাজার রাজ ওয়ার্ড স্টেট জমির মালিক কুচবিহার জেলার দিনহাটা গ্রামের দীঘলটারী গ্রামের মৃত আবব্দী মুহাম্মদর পুত্র এছাহাক ও এব্রাহীম শেখ খাজনা পরিশাধে ব্যর্থ হলে দক্ষিণ বাঁশজানী মৌজার খতিয়ান নং ৬৪ ভুক্ত ১৪৫,১৪৩,১৫৩,১৫৪,১৩৯ নং দাগে ৩ একর ১৭শতক জমি প্রকাশ্য নিলামে উকিল বাবু শিবকাষ কুন্ডু ৩ পাই মুল্যে ক্রয় করে। পরে ঐ জমি মৃত বীর মুক্তিযাদ্ধা আব্দুল ওহাবের পিতা উমির উদ্দিন ক্রয় করে । ঐ সময় থেকে উমির উদ্দিনের ওয়ারিশগন জমি ভোগদখল করে আসছে। অপরদিকে ভুমিদস্যুরা জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধা
পরিবারের সদস্যদের উচ্ছেদ করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনে ব্যর্থ হয়ে প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করে ঐ জমি জবর দখলের চেষ্টা চালালে তারা নিরুপায় হয়ে কুড়িগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের শুনানীর পর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পক্ষে রায় প্রদান করলে ভুমিদস্যুরা আদালতের রায়ক অমান্য করে জমি জবর দখলে আবারও চেষ্টা চালায়। নিরুপায় হয় মুক্তিযাদ্ধা আব্দুল ওহাবের ছোটভাই আব্দুল মতিনগং তাদের অব্যাহত হুমকিতে গত ২৯ জুলাই উচ্চ আদালতে আবেদন করলে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ৪ আগষ্ট ঐ জমির উপর ১ বছরের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ভুমিদস্যু চক্রের সোলেমান আলী,জিল্লুর রহমান,ইনছার আলী,আফসার আলী,বাচ্চু মিয়া,এনামুল হক সহ ১৪/১৫জনের সংঘবদ্ধ দল দেশীয় দা ,কুড়াল,লাঠি নিয়ে নিষেধাজ্ঞার পরেরদিন ঐ জমিতে থাকা ৫লক্ষাধিক টাকা মুল্যের ২শতাধিক বাঁশ ও ১০০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে লুট করে নিয়ে যায়। ঐ মুক্তিযোদ্ধাী বিধবা স্ত্রী মোছাঃ ছাকেয়া বওয়া(৬৫)ভুরুঙ্গামারী থানায় অবহিত করে এবং দেবর আব্দুল লতিফ কুড়িগ্রাম আমুলি আদালতে ৭ আগষ্ট/২০১৯ ইং তারিখে সোলেমান আলী সহ ২২ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করে। উচ্চ
আদালতে মামলা থাকা সত্বেও মুক্তিযোদ্ধা
পরিবারের জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মানের ঘটনায় জড়িতদর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন না করায় তারা আরও বেপরায়া হয়ে অবশিষ্ট জমি দখল করার পায়তারা করছে বলে ভুক্তভাগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন। অপরদিক জমি দখলকারী সোলেমান আলীগং জানায় উক্ত জমির প্রকত মালিক ছিল কুচবিহার জেলার দিনহাটা গ্রামের দীঘলটারী গ্রামের মৃত আবব্দী মুহাম্মদের পুত্র এছাহাক ও এব্রাহীম শেখের। তারা এছাহাক ও এব্রাহীম শেখের ওয়ারিশ হিসাবে জমির মালিকানা দাবী করে। এ বিষয় ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,উক্ত জমির বিষয়ে থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি তবে মামলা দায়ের করা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।