নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে সেচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে।
উপজেলার কেদার, কচাকাটা ও বল্লভেরখাস ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নতুন সংযোগের জন্য আবেদনকারী কৃষকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য যথাসময়ে আবেদন করার পরও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাঁদের ঘোরাচ্ছেন। এ ছাড়া নানা অনিয়ম ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাঁরা।

উপজেলার কেদার ইউনিয়নের ঢলুয়াবাড়ি এলাকার কৃষক আব্দুল হক বলেন, ‘বোরো আবাদের মৌসুম শুরু হলেও সেচযন্ত্রে সংযোগ দিচ্ছে না পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। গত বছরের ৫ অক্টোবর আবেদন করে এখনো ঘুরছি। আমার পরে যারা আবেদন করেছে তাঁদের ফাইল পার হলেও আমার ফাইলের হদিস নাই।’

কেদার ইউনিয়নের হাপাটারি এলাকার কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘একেক সময় একেক শর্ত আরোপ করে কালক্ষেপণ করছে বিদ্যুৎ অফিস। একই ডিজাইন কয়েক বার করে পরিবর্তন করা হচ্ছে। ফলে মৌসুম শুরু হয়ে গেলেও সংযোগ পাওয়া অনিশ্চিত।’

কেদার গোলের হাট এলাকার আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘এবার পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি বিনা টাকায় ট্রান্সফরমার ও হার্ডওয়্যারের জিনিসপত্র দিয়ে সেচ সংযোগ দেওয়ার কথা। সেই হিসেবে আমরা আবেদন করেছি। এখন সংযোগ নেওয়ার জন্য ট্রান্সফরমার এবং হার্ডওয়্যার সামগ্রী কিনে দেওয়ার শর্তারোপ করেছে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। পরে সমিতি ট্রান্সফরমার ও অন্যান্য সামগ্রীর দাম বিলের সঙ্গে সমন্বয় করবে বলে জানিয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় বহন করার সামর্থ্য না থাকায় অনেক কৃষকের পক্ষে সংযোগ নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. কাওসার আলী বলেন, ‘হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়। নতুন সংযোগের জন্য দুই মাস আগে ৬৮৭টি আবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬০টি আবেদন নীতিমালা বহির্ভূত হওয়ায় তা বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। আবেদনকারী যদি ট্রান্সফরমার ও হার্ডওয়্যার সামগ্রী কিনে দেন তাহলে নতুন সংযোগ দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন